• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন তো মাহমুদুল্লাহ?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ২০:১৪

সিলেট টেস্টে লজ্জার হার স্বাগতিকদের। ১৭ বছর পর বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ জিম্বাবুয়ের। এমন জয়ে প্রতিপক্ষ দল অভিবাদন পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু বাংলাদেশ? ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ সিরিজে ০-১ ম্যাচে পিছিয়ে গেলো। সিরিজের শেষ ম্যাচে যদি জিম্বাবুয়ে ড্র করে ফেলে তবে ১-০ তে সিরিজ হারের স্বাদ পেতে হবে।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে অধিনায়কের ভার উঠেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাঁধে। দলে নেই নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালও। এমন অবস্থায় অনেক কিছুই প্রমাণ করার সুযোগ ছিল দলে জায়গা পাওয়া বদলি খেলোয়াড়দের।

কিন্তু কি হলো? গোড়ায় গলদ। দলের সিনিয়রদের প্রমাণ করার আপাতত চিন্তা নেই। অথচ তারাই কি না ব্যর্থ। তাহলে কি নিশ্চিন্তে দলে থাকাটাই এমন দুরবস্থার কারণ?

সিনিয়ররা না হয় এমন দুই-একটা ম্যাচে খারাপ করলেও খুব বেশি সমস্যা না কিন্তু যারা নতুন কিংবা বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছে তাঁদের ও কি নিজেকে প্রমাণ করার তাড়া ছিল না?

দুই ইনিংস মিলে তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন ১১ উইকেট। বাকি ৯ উইকেটের ৪ উইকেট অভিষিক্ত নাজমুল ইসলাম অপুর। একটি আবু জায়েদ রাহীর, মেহেদী মিরাজের ৩টি আর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পেয়েছেন ১টি উইকেট।

দলের মেইন বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করলেও ব্যাটসম্যানরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন কই।

ওপেনিংয়ে লিটন দাস দুই ইনিংস মিলে করলেন ৩২ রান। আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস করলেন ৪৮ রান।

টেস্ট দলের জন্য যার নামের পাশে অদৃশ্য সিল করে দেয়া হয়েছে সেই মুমিনুল হক করেছেন ১১ আর ৯ রান।

সাকিবের জায়গায় পরীক্ষা দেয়ার জন্য দলে নেয়া নাজমুল হোসেন শান্তর ৫ আর ১৩ রান।

বাংলাদেশের টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি দল যার দিকে দল চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকেন সেই মুশফিকুর রহিমও এ যাত্রায় ফেল করলেন। প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান।

শেষ ভরসা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটে দুই ইনিংস মিলে মাত্র ১৬ রান! প্রথম ইনিংসে দুই বলে শূন্য আর পরের ইনিংসে ৪৫ বলে ১৬ রান। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রাপ্তি ১ উইকেট আর ১৬ রান।

সবশেষ আটটি ইনিংস যদি আপনি ঘেঁটে দেখেন তবে কুড়ি রান পার করা ইনিংস চোখে পড়বে না।

এই যদি হয় দলনেতার অবস্থা তাহলে আপনার প্রশ্ন জাগতেই পারে, টেস্ট দলে রিয়াদের জায়গা কেন? ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির রিয়াদের সঙ্গে টেস্টের রিয়াদের পার্থক্যটা যে কতটা ব্যাপক তা গত আট টেস্টের ১৬ ইনিংস দেখলেই বোঝা যায়।

এই আট ম্যাচে আছে মাত্র দুটি অর্ধশতক। ৪০ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে শতক আছে মাত্র ১টি! ২৯.১৬ রান গড়ে মোট রান ২১০০।

সিলেটে চতুর্থ দিনে টেস্ট শেষ করে অবশ্য রিয়াদ শোনালেন ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। এই গল্প এবার সত্যি করতে চান ঢাকা টেস্টে।

‘প্রথম ইনিংসে বেশি রান করতে পারিনি আমরা। উইকেটের দোষ দিবো না আমি। উইকেট ভালো ছিল। আমাদের সমস্যা, অনেক বেশি শট খেলেছি। উইকেট বুঝতেও আমরা ভুল করেছি।

রিয়াদ আরও বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে পরের টেস্টে। এই টেস্টে যেসব ভুল হয়েছে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

রিয়াদ শোনালেন দলের শৃঙ্খলার অভাবের কথাও।

‘টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে যতটুকু ডিসিপ্লিন থাকা উচিৎ সেটুকু মনে হয় আমাদের দলে ছিল না। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা চোখে পড়ার মতো। সামনের ম্যাচে ডিসিপ্লিন নিয়ে আরও ভাবতে হবে আমাদের। বিশ্বাস বাড়াতে হবে নিজেদের ওপরও।’

দলের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তো ব্যক্ত করলেন অধিনায়ক কিন্তু নিজেকে কতটা পরিবর্তন করতে পারবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh