• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অধিনায়ককে ধন্যবাদ দিতে ভুলেননি সাইফুদ্দিন

মেহিদী হাসান, চট্টগ্রাম থেকে

  ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪৯

শেষদিকে এমন একজন পারফর্মারই তো চায় বাংলাদেশ দল। আপাতত বলা যায় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পাস। কোচ, অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন গত দুই ম্যাচে।
প্রথম ম্যাচে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশত রান। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৬৯ বলে করা ৫০ রান বড় ভূমিকা রেখেছিল দলের জয়ে। যদিও সেদিন উইকেট শূন্য ছিলেন। তাতেও ৭ ওভারে ছিল একটি মেডেন আর দিয়েছিলেন মাত্র ২৯ রান।

প্রথম ম্যাচে উইকেট শূন্য ছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ১০ ওভারে ১ মেডেন আর ৩ উইকেট নিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি শুধুই ব্যাটসম্যান নন, একজন বোলারও। এই দশ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।

ম্যাচের শুরুতে যাকে খুব একটা ব্যাবহার করা হয় না এদিন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজে দুই ওভার করে নতুন বলে বোলিং করতে দিলেন সাইফুদ্দিনকে।

রুবেল হোসেনের দলে না থাকার অভাবটা সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ছিল লক্ষণীয়। সেই অভাবটা গত কালকের ম্যাচে এসে পূরণ করে দিলেন সাইফুদ্দিনই।

নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। এরপর প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় জুটিও ভাঙেন সেই সাইফুদ্দিনই। শেন উইলিয়ামসকে ৪৭ রানে ফেরান তিনি। শেষদিকে এল্টন চিগুম্বুরাকেও ফেরান সাইফ।

এই ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগ না পেলেও ম্যাচ শেষে সাইফুদ্দিনের হাতেই উঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সাইফ এতে অবশ্য কিছুটা অবাক হয়েছেন। সেটাই জানান ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে।

‘আসলে চেষ্টা ছিল দলকে কিছু একটা দিবো, সেটাই মাথায় ছিল। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হবার কথা মাথায়ও ছিল না। যখন আমার নাম বলল তখন অবাকই হয়েছি। তবে দল জিতেছে এতেই আমি খুশি।’

নিজে ম্যাচ সেরা হবার দিনে সাইফুদ্দিন ধন্যবাদ দিতেও ভুলেননি অধিনায়ককে।

ম্যাচ শেষে সাইফ বলেন, আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম আমাকে যেন প্রথম দিকে বোলিংয়ে আনা হয়। আমি চাচ্ছিলাম কিছু একটা করে দেখাতে। আমি খেলছি রুবেল ভাই না থাকার কারণে তাই চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করে দলে টিকে থাকার। আমি সেটা পেরেছি। আমাকে ওই সময়ে বোলিংয়ে আনার জন্য ম্যাশ ভাইয়াকে ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন :

এমআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh