• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:২৮

২০১১-১২ সালে বিশ্বকাপসহ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ১৫ ম্যাচে মোট ২৬টি গড়াপেটার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে আল জাজিরা। কাতারের এই টিভি চ্যানেলটি প্রমাণ হিসেবে হাজির করেছে বুকির (যার মাধ্যমে দুই পক্ষের সমঝোতা হয়) কথাবার্তা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিক্সিং নিয়ে অভিযোগের তীর আগেও তুলেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটি। কয়েক মাস আগে গোপন ক্যামেরা অভিযান চালিয়ে তারা একই বুকি অনিল মুনাওয়ারের আলাপন ফাঁস করেছিল। এবারের ফাঁস করা তথ্যে রয়েছে বাংলাদেশের একটি ম্যাচও।

বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসেছিল ২০১১ বিশ্বকাপের আসর। সেবার চট্টগ্রামে গ্রুপ পর্বে শ্বাসরুদ্ধকর একটি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ দল।

ওই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাকিব আল হাসান নেতৃত্বাধীন দলটি। টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৫ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুভ সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। দলীয় ৫৮ রানে তামিম ফেরেন। জুনাঈদ সিদ্দিকি আর রকিবুল হাসান দ্রুত ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যান ইমরুল কায়েস। সাকিবকে নিয়ে ৮২ রানের বড় জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন ইমরুল। দলীয় ১৫৫ রানে ব্যক্তিগত ৬০ রানে ফিরে যান এই ওপেনার। কিছুক্ষণ পর অধিনায়ক আর নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ফিরে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ দল।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ক্রিজের এক পাশে দাঁড়িয়ে নাইম ইসলাম আর আব্দুর রাজ্জাকের চলে যাওয়া দেখতে হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। সেসময় স্ট্রাইকে আসেন শফিউল ইসলাম। এই টেল এন্ডারের ২৪ বলে ২৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন। এতে দুই উইকেটের হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ক্রিকেটের জনকদের।

আল জাজিরার ফাঁস করা ওই তথ্যচিত্রে ইংল্যান্ডের কয়েকজনসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণের দাবি করা হয়েছে।

যদিও ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) দাবি করেছে, ইংল্যান্ডের বর্তমান বা সাবেক কোনও ক্রিকেটার, দুর্নীতিতে জড়িত থাকা বা সন্দেহজনক আচরণের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যানালিস্টদের সন্দেহের তালিকায় নেই।

এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ইসিবি দুর্নীতি রোধে ও ক্রিকেটের অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়ে নিজেদের ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।

তারা আরও জানিয়েছে আল জাজিরার পক্ষে তাদের কাছে এই বিষয়ে অতি সামান্য তথ্যই পাঠানো হয়েছে। সেইসব তথ্যও অস্পষ্ট। সেই তথ্য তাদের বিশ্লেষকরা খুঁটিয়ে দেখেছেন। কিন্তু তাতে কোনও ইংলিশ ক্রিকেটারকে সন্দেহ করার মতো কিছু নেই। তবে সেই সবই আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার (আকসু) কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন :

ওয়াই/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh