রাতে দেশে ফিরছেন মাশরাফি-মুশফিকরা
২৮ সেপ্টেম্বরে ভারত কোনও ম্যাচই জিতে না। ফাইনালের আগে মিডিয়ার কল্যাণে এমন একটি কথা ভাসছিল। অবশেষে তারা ২৮ এর গেরো কাটিয়ে সপ্তমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তোলে। অন্যদিকে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ছয়টি ফাইনালে (যার মধ্যে এশিয়া কাপেরই তিনটি) এসে শিরোপা না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে দুই রানের পরাজয়, ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৮ উইকেটের পরাজয় আর সবশেষ গতরাতে ভারতের কাছে ৩ উইকেটের পরাজয়। তবে ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়টি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এখনো দাগকাটে। কিন্তু গতরাতে ভারতের বিপক্ষে হারলেও তাদেরকে যেভাবে চেপে ধরেছিল তাতে টাইগরদের গৌরবের হার হয়েছে। এক কথায়, হার না মানা হার।
ফাইনালের আগে দুই সেরা ক্রিকেটারকে হারিয়ে বাংলাদেশ আগেই ধাক্কা খেয়েছিল। তবে পুরো সিরিজেই চোটে জর্জরিত ছিল বাংলাদেশ শিবির। তামিম, সাকিব, মুশফিক আর শেষের দিকে মাশরাফি, মাহমুদুল্লাহ। তামিম প্রথম ম্যাচ পরেই দেশে ফিরেন আর সাকিব ফিরেন ফাইনালের আগে। ফাইনালে মুশফিক, মাশরাফি ও মাহমুদুল্লাহ ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন।
এতকিছুর পরও বলা চলে একটি সফল সিরিজ কেটেছে বাংলাদেশের। এশিয়া কাপের সফল মিশন শেষে শনিবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টায় দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন মাশরাফি, মুশফিকরা। বাংলাদেশে পৌঁছাতে রাত ১১টা।
দেশে ফিরে আপাতত বিশ্রামেই থাকবেন ক্রিকেটাররা। এরপরই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার জন্য। ২১ অক্টোবর দুই দলের প্রথম ওয়ানডে মিরপুরে। আর প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটবে সিলেট আন্তর্জাতকি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টেস্ট খেলতে ১৬ অক্টোবর ঢাকায় আসবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এ সিরিজ উপলক্ষে বাংলাদেশের ক্যাম্প শুরু হবে ১০ অক্টোবর।
অন্যদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হবে ১ অক্টোবর থেকে। জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার লিগের শুরু থেকেই থাকবে।
আরও পড়ুন :
এএ/এমকে
মন্তব্য করুন