তবে কী ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়া!

৮৮ বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে ১৩তম দল হিসেবে আগামী ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ৯৮’র চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। পুরো ফুটবল বিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে লুঝনিকির মূলমঞ্চে কে তুলে ধরবে সোনালী ট্রফি? দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্স নাকি প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়া।

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নানা কুসংস্কার, বিভিন্ন সংখ্যাতত্ত্ব আর বিভিন্ন রকম যুক্তি নিয়ে হাজির ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হওয়ার পরই ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই দাবি করছেন এবার ফুটবল বিশ্ব নতুন চ্যাম্পিয়নকে দেখতে পাবে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকছে আর্জেন্টিনা!
--------------------------------------------------------

তারা যে যুক্তি দিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছে তা হয়ত অনেকেই জানেন না। আসুন যেনে নেই সেই যুক্তি কি? বিগত ৬০ বছরে বিশ্বকাপের ধারা বজায় রেখে এবারেও নাকি নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে বিশ্ব। এর কারণ হল ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতি ২০ বছর অন্তর নতুন নতুন চ্যাম্পিয়ন পেয়ে আসছে ফুটবল।

আসুনে দেখে নেই সেটি কেমন করে হয়েছে। ১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। সে বারের ফাইনালে সাম্বার দেশ ব্রাজিল হারিয়েছিল সুইডেনকে। আসুন এর ২০ বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে সেখানে প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে নীল-সাদা ব্রিগেড হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডকে। এরপর চলে আসি আরও ২০ বছর পরে ১৯৯৮সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপে। যেখানে জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স পেন্টার স্বপ্নভঙ্গ করেছিল ব্রাজিলের। তার ঠিক ২০ বছর পর সেই ফ্রান্সের বিপক্ষে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। সে হিসেবে নতুন দল হিসেবে ক্রোয়েশিয়াই সোনালী ট্রফি উচিয়ে ধরার যোগ্য দল।

এবারই নিজেদের ইতিহাসের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মডরিচরা। গত ৬০ বছরের এই ধারা বজায় থাকলে এবারেও নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে পারে ক্রোয়েশিয়া।

কিন্তু নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ফ্রান্সই বা ছাড়বে কেন? তারা আবার দিচ্ছেন অন্য যুক্তি। ফ্রান্সের সমর্থকরা বলছে না ক্রোয়েশিয়া নয় এবারেও চ্যাম্পিয়ন হবে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে এই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে সহজেই জিতেছিল ফ্রান্স। এবারেও নাকি সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে।

তাছাড়া খেলোয়াড় এবং কোচ দুই হিসেবেই বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য নজির গড়তে মরিয়া দিদিয়ের দেশম। এর আগে এই নজির গড়েছেন মোটে দু’জন। মারিও জাগালো এবং ফ্রান্স বেকেনবাওয়ার। তাছাড়া এবারের বিশ্বকাপে কোনও যুক্তিই যেন খাটছে না। তাই আগে থেকে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করাটা বোধ হয় যুক্তিযুক্ত হবে না।

আরও পড়ুন :

• বার্সেলোনায় যোগ দিলেন আর্থার ও লংলে
• গোল্ডেন গ্লাভসের রেসে যে সকল গোলরক্ষক

এএ/জেএইচ