• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লাল হলুদের বিশ্বকাপ জার্মানি

স্পোর্টস ডেস্ক

  ২২ মে ২০১৮, ১৭:৪৬

শিরোপাকে পাশে রেখে মাথা নিচু করে বেরিয়ে যাওয়ার স্মৃতি কখনো ভুলবেন না জিনেদিন জিদান ও লিওনেল মেসি। মেসির বিষয়টি অনুমেয় হলেও জিদানের বিষয়টি ছিল বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই অন্যতম ট্র্যাজিক মুহূর্ত। আর এই মুহূর্তটি দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালের ফাইনালে।

ইতালির ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জিকে সেই ঐতিহাসিক ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখেছিলেন ফরাসি অধিনায়ক। শুধু এই একটি লাল কার্ডের জন্যই বারবার স্মরণ করা হবে ২০০৬ বিশ্বকাপকে। যদিও লাল কার্ডের জন্যই বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে জার্মানির সেই আসর। সেবার লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল মোট ২৮ বার যা বিশ্বকাপের আসরে রেকর্ড। আর সেই ২৮তম লাল কার্ডটি দেখেছিলেন জিদান।

লাল কার্ডের সঙ্গে জিদানের নামটি জড়িয়ে আছে আরও দুভাবে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে প্রথম ফরাসি ফুটবলার হিসেবে লাল কার্ড দেখেছিলেন জিদান। বিশ্বকাপের দুটি ভিন্ন আসরে লাল কার্ড দেখা দ্বিতীয় ফুটবলারের নামও জিনেদিন জিদান। এই অভিজ্ঞতা প্রথম হয়েছিল রিগোবার্ট সঙের। ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালে লাল কার্ড দেখেছিলেন ক্যামেরুনের এই ডিফেন্ডার।

২০০৬ সালের আগে সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখানোর রেকর্ডটিও হয়েছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। তবে ২০০৬ বিশ্বকাপ হলুদ আর লাল রঙে রঞ্জিত এক বিশ্বকাপ হয়ে আছে। সেবার ৩৪৫টি হলুদ কার্ড দেখানো হয়। গড়ে প্রতি ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে ৫.৩৯ বার!

ওই বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ হয়ে আছে হল্যান্ড ও পর্তুগালের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি। ওই ম্যাচে ১৬ বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছিল রাশিয়ান রেফারি ভ্যালেন্টিন ইভানোভকে। লাল কার্ড দেখিয়েছেন চারবার। এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড-হলুদ কার্ড দেখানোর নতুন রেকর্ড হয়ে যায়। এ ম্যাচটি ব্যাটল অফ নুরেমবার্গ নামে পরিচিতি লাভ করে।

পর্তুগালের দুইজন খেলোয়াড়কে যথাক্রমে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখানো হয়। তখন ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার ইঙ্গিত দেন যে তিনি নিয়ম-কানুনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন, যেন পরবর্তী প্রতিযোগিতাগুলোতে কোনো খেলোয়াড়কে কার্ড দেখানোর পরও যদি তার দল ফাইনালে পৌছায় তবে সে যেনো ফাইনালে খেলতে পারে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় ইংরেজ রেফারি গ্রাহাম পোল ভুলক্রমে ক্রোয়েশিয়ার ইয়োসিপ শিমুনিচকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলায় তিনবার হলুদ কার্ড দেখান।

তবে সব ছাপিয়ে অনেকের বুকে হাহাকার হয়ে আছে জিদানের সেই লাল কার্ডই। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের নায়ক অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন বড় দুঃসময়ে।

২০০২ বিশ্বকাপে ফ্রান্স শিরোপা সঁপে দিয়েছিলেন প্রথম রাউন্ডে বিদায় নিয়ে। উদ্বোধনী ম্যাচেই হেরে গিয়েছিল সেনেগালের কাছে। ২০০৪ ইউরোর পর অবসর নিয়ে ফেলা জিদান আবার ফিরে এসেছিলেন দল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেই ধুঁকছিল বলে।

দলকে শুধু বিশ্বকাপে নয়, জিদান নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালেও। সে বিশ্বকাপ দেখছিল বুড়ো জিদানের অবিশ্বাস্য জাদু। গোল করেছিলেন ফাইনালে। সেই ম্যাচেরই ইতালির গোলদাতা মাতেরাজ্জির কী এক কথায় মুহূর্তে হুঁশ হারিয়ে ওই কাণ্ড করে বসেন জিদান। ম্যাচের ১১০ মিনিটে দেখেন লাল কার্ড!

সোনালি ট্রফিটাকে পাশে রেখে জিদান মাথা হেঁট করে বেরিয়ে যাচ্ছেন, বিশ্বকাপের ইতিহাসেই মর্মন্তুদ এক দৃশ্য হয়ে আছে এটি!

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘গিনেস বুকে’ স্থান পাবে : প্রতিমন্ত্রী
টিভিতে আজকের খেলা
‘ফুটবলের উজ্জ্বল তারকারা অবশ্যই ফর্মে ফিরবে’
ঈদের শুভেচ্ছা ভাগাভাগি করল ইউরোপের ফুটবল ক্লাবগুলো
X
Fresh