সেমি পর্যন্ত যেতে চায় জাপান
জাপান হল পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জাপান সাগর, পূর্ব চীন সাগর, চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার পূর্ব দিকে উত্তরে ওখোৎস্ক সাগর থেকে দক্ষিণ পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ান পর্যন্ত প্রসারিত। যে কাঞ্জি অনুসারে জাপানের নামটি এসেছে, সেটির অর্থ ‘সূর্য উৎস’। জাপানকে ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলা হয়।
প্রায় ৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গড়া এ রাষ্ট্রটিতে রয়েছে আগ্নেয়গিরির নিরব ঘুম। লাভার উল্লাস ছড়িয়ে জেগে ওঠে মাঝে মধ্যেই। এশিয়ার সর্ব পুবের এ রাষ্ট্রটিতে ফুটবলের বিকাশ ঘটেছে উনবিংশ শতাব্দীতে। ঐতিহাসিক ও গবেষকদের মতে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ফটেনেন্ট-কমান্ডার আর্চিবাল্ড লুসিয়াস ডগলাস ও তার সঙ্গীরা জাপানের নেভি ক্যাডেটদের মধ্যে ফুটবল খেলার চালু করেন। ডগলারের জন্ম কানাডায়, ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। ১৮৭৩ সালে ডগলার টোকিওর ‘ইম্পেরিয়াল জাপানিজ নেভি একাডেমি’র প্রশিক্ষক ছিলেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আইপিএল না খেলায় টি-টোয়েন্টির শীর্ষে পাকিস্তান: ওয়াকার
--------------------------------------------------------
তবে জাপানের প্রথম ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় তারও অনেক পরে বিংশ শতাব্দীতে। ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির নাম ‘টোকিও শুকিউ-দান’। ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের অপেশাদার লিগে খেলে। ১৯২০ সালে টোকিওর বিশ্ববিদ্যালয় ও হাই স্কুলগুলো নিয়ে আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু হয়। পরের বছর ১৯২১ সালে গঠন করা হয় ‘জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন’। জাপানের জাতীয় ফুটবল দল তাদের প্রথম সাফল্য পায় ১৯৩০ সালে ফার ইস্টার্ন চ্যাম্পিয়নশিপে। ওই আসরে চীনের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র করে তারা।
১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে অংশ নিয়ে শক্তিশালী সুইডেনকে ৩-২ গোলে হারায় তারা। তবে জাপানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ জাতীয় লিগ চালু হয় ১৯৬৫ সালে, ‘দি জাপান সকার লিগ’ নামে। প্রথম আসরে ৮টি অপেশাদার ক্লাব এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। লিগটিও সম্পূর্ণ পেশাদার লিগ ছিল না। দেশটিতে পেশাদার লিগ চালু হয় ১৯৯৩ সালে, ‘জাপান প্রফেশনাল লিগ’ নামে।
১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় এশিয়ার এ দলটি। গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া ও জ্যামাইকার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় জাপান।
২০০২ সালের বিশ্বকাপে জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজক হয়। উদ্বোধনী ম্যাচে ২-২ গোলে বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করে। দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় এবং তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়ে শেষ ষোলোয় খেলার যোগ্যতা অজর্ন করে। অবশেষে তুরস্কের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়বরণ করে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয়।
ডাকনাম
|
:
|
সামুরাই ব্লু
|
অ্যাসোসিয়েশন
|
:
|
জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
|
কনফেডারেশন
|
:
|
এএফসি (এশিয়া)
|
সাব কনফেডারেশন
|
:
|
ইএএফএফ (ইস্ট এশিয়া)
|
হেড কোচ
|
:
|
ভাহিদ হালিহোডজিক
|
অধিনায়ক
|
:
|
মাকোতো হাসেবে
|
সর্বাধিক ম্যাচ
|
:
|
ইয়াসুহিতো ইনদো (১৫২)
|
সর্বাধিক গোলদাতা
|
:
|
কুনিশিগে কামামোতো (৮০)
|
হোম ভেন্যু
|
:
|
নিসান স্টেডিয়াম, ইয়োকোহামা
|
বর্তমান র্যাংকিং
|
:
|
৫৫
|
সেরা সাফল্য
|
:
|
শেষ ষোল, ২০০২ ও ২০১০ বিশ্বকাপ
|
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ
|
:
|
১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮
|
সেরা খেলোয়াড়
|
:
|
শিনজি কাগাওয়া
|
আরও পড়ুন :
এএ/জেএইচ
মন্তব্য করুন