• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাভাসের হাত ধরে সাফল্য চায় কোস্টারিকা

স্পোর্টস ডেস্ক

  ২৩ মার্চ ২০১৮, ১১:৪৭

লা সেলে বা লস টিকোস ডাকনামে পরিচিত কোস্টারিকা দলকে ফেদারেশিও কোস্টারিসেন্স দ্য ফুটবল নামীয় সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। কোস্টারিকা দলের বর্তমান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন অস্কার রামিরেজ। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এটি তৃতীয় সফলতম ফুটবল দল। মধ্য আমেরিকা থেকে সর্বাপেক্ষা সফলতম দল হিসেবে এবার নিয়ে পাঁচবার ফুটবল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরলেন মোহাম্মদ শামি
--------------------------------------------------------

১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের অভিষেকেই দলটি ১৬ দল নিয়ে গড়া দ্বিতীয় রাউন্ডে পদার্পণ করে। কিন্তু ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ফলাফল হিসেবে ৩২ দলের মধ্যে ৩১তম স্থান অধিকার করে।

কোস্টারিকা ফুটবল দল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নশীপ লাভ করেছে তিনবার এবং সাতবার আনকাফ ন্যাশনস কাপ জয় করেছে। এছাড়াও তারা চারবার কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দুইবার কোয়ার্টার ফাইনালে অংশগ্রহণ করে।

সেপ্টেম্বর, ১৯২১ সালে গুয়াতেমালা সিটিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিপেনডেন্স সেন্টেনারি গেমসের মাধ্যমে জাতীয় দলের অভিষেক ঘটে। প্রথম খেলায় এল সালভেদর দলকে ৭-০ গোলের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করে। চূড়ান্ত খেলায় স্বাগতিক গুয়াতেমালাকে ৬-০ গোলে হারিয়ে ট্রফি জয় করে। ১৯৪০ এর দশকে দলটি দ্য গোল্ড শর্টিজ ডাকনামে পরিচিতি পেয়েছিল। ৫০ ও ৬০ এর দশকে মেক্সিকোর পরপরই দ্বিতীয় শক্তিধর দল হিসেবে কনকাকাফ অঞ্চলে আবির্ভূত হয়।

১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে রানার্সআপ হয়েছিল। এ সময়ে রুবেন জিমেনেজ, এরল ড্যানিয়েলস, লিওনেল হার্নান্দেজ, এডগার মারিনের ন্যায় তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু ৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে এ অঞ্চল থেকে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভেদর, হাইতি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং কানাডার ন্যায় দেশগুলোর জাতীয় দল সম্মুখে চলে আসে।

কিন্তু অধিকাংশ দলই বিশ্বকাপে তাদের সাফল্য খুব কমই দেখাতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকের অধিকাংশ সময় বিশ্বকাপে কোস্টারিকা দলকে দেখা যায়নি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পূর্ব পর্যন্ত তারা কনকাকাফ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে পারেনি। বর্তমানে ৪৭ গোল করে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে রয়েছেন রোল্যান্ডো ফনসেকা।

কোস্টারিকা এ পর্যন্ত ১৯৮০ ও ১৯৮৪ সালে মোট দুইবার সরাসরি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ক্রীড়ায় অংশ নিয়েছে। মস্কোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮০ সালের অলিম্পিকের ফুটবল ক্রীড়ায় ডি গ্রুপে অবস্থান করে যুগোস্লাভিয়া, ফিনল্যান্ড এবং ইরাকের কাছে যথাক্রমে ২-৩, ০-৩ এবং ০-৩ ব্যবধানে হেরে যায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত ১৯৮৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে জয় পায় যা বৈশ্বিক ফুটবলে তাদের প্রথম জয় হিসেবে স্বীকৃত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের কাছে যথাক্রমে ০-৩ ও ১-৪ ব্যবধানে হারলেও শেষ খেলায় শক্তিশালী ইতালিকে হারিয়ে বৈশ্বিক ফুটবলে সাড়া জাগায়। ওয়াল্টার জেঙ্গা, পিয়েত্রো ভিয়ের্চউড, ফ্রাঙ্কো বারেসি, আল্দো সেরেনার দলকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল কোস্টারিকা।

ডাকনাম

:

টিকোস (লা সেলে)

অ্যাসোসিয়েশন

:

কোস্টারিকান ফুটবল ফেডারেশন

কনফেডারেশন

:

কনকাকাফ

সাব কনফেডারেশন

:

আনকাফ (মধ্য আমেরিকা)

হেড কোচ

:

অস্কার রামিরেজ

অধিনায়ক

:

ব্রায়ান রুইজ

সর্বাধিক ম্যাচ

:

ওয়াল্টার সেনটেনো (১৩৭)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

রোল্যান্ডো ফনসেকা (৪৭)

হোম ভেন্যু

:

এস্তাদিও ন্যাশিওনাল দ্য কোস্টারিকা

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

২৬

বেস্ট রেজাল্ট

:

২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৯০, ২০০২, ২০০৬, ২০১৪

সেরা খেলোয়াড়

:

কেইলর নাভাস

আরও পড়ুন:

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh