এক ম্যাচে মুশফিকের দুই রেকর্ড
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন টাইগার ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। এর আগে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
অবশ্য এর আগে ফিল্ডিংয়ের সময় পঞ্চম উইকেটকিপার হিসেবে ডিসমিসালের অর্ধশত পূরণ করেন মুশফিক।
শুক্রবার শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল৬৬ ম্যাচে ৯৭৫ রান। এক রান পূর্ণ করতে মুশফিকুর রহিমের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। ম্যাচটিতে তিনি আউটন হন ২৮ রান করে। এই রান করতে ২৫টি বল মোকাবেলা করেন তিনি।
নিদাহাস ট্রফিতে মুশফিকুর রহিম দারুণ খেলছেন। সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি ছিল ভারতের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ১৮ রান করেন তিনি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ বল খেলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তারপর ভারতের বিপক্ষে ৫৫ বল খেলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এদিন মুশফিক টি-টুয়েন্টিতে ডিসমিশালের ফিফটিও পূরণ করেন। মুশফিক পঞ্চম উইকেটকিপার হিসেবে এ সাফল্য পান। এর আগে এমন মাইলফলক গড়েছেন শুধু ভারতের মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, পাকিস্তানের কামরান আকমল, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিনেশ রামদিন।
এ ম্যাচের আগে একটি মাত্র ডিসমিসালই করতে পেরেছিলেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখায় মুস্তাফিজুর রহমানের বলে কুশল পেরেরা ক্যাচ হন মুশফিকের হাতে। এদিনও মুশফিকের ডিসমিসালের সঙ্গে জড়িয়ে মুস্তাফিজের নাম। কাটার মাস্টারের বলে দাসুন সানাকার ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক যা টি-টুয়েন্টিতে তার পঞ্চাশতম ডিশমিশাল (ক্যাচ ও স্টাম্পিং)।
নিজের ৬৭তম ম্যাচে ডিসমিশালের ফিফটি করলেন মুশফিক। ৮৯ ম্যাচে ৭৮ ডিসমিসাল করে এই তালিকায় সবার উপরে ধনি। ৫৮ ম্যাচে ৬০ ডিসমিশাল কামরানের। ৬০ ম্যাচে ৫২ ডিসমিসাল করেছেন শাহজাদ। আর ৫৮ ম্যাচে ৫১ ডিসমিশাল রামদিনের।
এএ
মন্তব্য করুন