বিশ্বকাপের দুঃখ কি ঘুঁচবে এবার?
মাত্র ১ রানের আক্ষেপ। রিয়াদ-মুশফিকরা মুখে যতই বলুক মন থেকে আর মুছে দিতে পারবে? ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সাথে বিশ্বকাপের ম্যাচে ১ রানে হারের পর আর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তাদের সাথে।
শ্রীলঙ্কার ৭০ বছরের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিদাহাস টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে ভারতের সাথে আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশও। তাই ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবার দেখা হচ্ছে ভারতের সাথে।
১ রানে হারের সেই তিক্ততা কি আর এত সহজে ভোলা যায়! টাইগার অধিনায়ক তবুও ভুলে যেতে চান বেঙ্গালুরুর সেই হারের কথা।
টুর্নামেন্ট থেকে ভারতকে বিদায় করতে হলে সেদিন শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। টাইগার ভক্তদের আস্থা ছিল ভারতকে আজ হারিয়েই দিবে। পিচে যদি থাকে দেশসেরা দুই ব্যাটসম্যান রিয়াদ-মুশফিক। তাহলেতো আস্থা রাখাটা বাড়াবাড়ি না।
শেষ ওভারে স্ট্রাইকে থাকা রিয়াদ ১রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন মুশফিককে। পর পর দু’বলে দুটি চার হার্দিক পান্ডিয়াকে। আগাম উল্লাস মুশফিকের শরীরী ভাষায়। উত্তেজনায় থাকা মুশফিক চাইলেন চতুর্থ বলেই ছয় মেরে জয় তুলতে। ওভার বাউন্ডারির স্বপ্ন পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে। ক্যাচ দেন বাউন্ডারিতে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: তিন নাম্বার নিয়ে দ্বিধায় অধিনায়ক!
--------------------------------------------------------
স্ট্রাইক পরিবর্তন করা রিয়াদেরও একই অবস্থা। ফুল্টস বল পেয়ে আর লোভ সামলাতে পারেননি। তিনিও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
শেষ বলে জিততে হলে লাগে দুই রান। ম্যাচ ড্র হয় ১ রান নিলে। স্ট্রাইকে থাকা শুভাগত হোম ব্যাটে বলে না লাগাতে পারলেও ড্র করার জন্য দৌড় দেন ননস্ট্রাইক প্রান্তে। তবে ননস্ট্রাইকে থাকা মুস্তাফিজ পৌছানোর আগেই রান আউট করেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি।
প্রায় দু’বছর পর ভারতকে সামনে পেয়ে সেই হারের কথা ওঠাটাই স্বাভাবিক। এমন কথায় রীতিমত বিরক্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ভুলে যেতে চান সেদিনের কথা।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ক্রিকেটে দূর্ঘটনা হতেই পারে। হার নিয়ে বসে না থেকে সেখান থেকে যদি কিছু শেখা যায় সেটিই কাজে দিবে।
নিদাহাস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত।
আরও পড়ুন:
এএ
মন্তব্য করুন