• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

অভিজ্ঞতার কাছেই টাইগারদের আত্মসমর্পণ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৩৬

সৌম্য, মুশফিকের অর্ধশত ও মাহমুদুল্লাহর লড়াকু ইনিংসে লঙ্কানদের সামনে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাহাড়সম টার্গেট দাঁড় করানোর পরেও অভিজ্ঞতার কাছেই হারলো টাইগাররা। তামিম, সাকিবের যে অভাব তা ভালোভাবেই ফুটে উঠলো পুরো ম্যাচে। বিশেষ করে বলতে গেলে সাকিবের অভাবটা আরো একবার টের পেলো টাইগাররা।

সাকিব দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যে ব্রেক থ্রু এনে দেন এদিন কোনো তরুণ বোলারই তা পূরণ করতে সমর্থ হয়নি। তারপরও নাজমুল ইসলাম অপু দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রু এনে দিলেও তা ধরে রাখতে পারেনি বাকি বোলাররা।

২০ ওভারে ১৯৪ রানের টার্গেটকে পাহাড়সমই বলা চলে। কিন্তু লঙ্কানদের ব্যাটিং দেখে একটি বারের জন্যও মনে হয়নি তারা মূলত টার্গেট পাড়ি দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাটিং করছে। কুশল মেন্ডিস ও গুণাথিলাকা প্রথম পাঁচ ওভারেই দলীয় অর্ধশত পূরণ করেন। এরপর অভিষিক্ত অপু গুণাথিলাকাকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেও অপরপ্রান্তে ঠিকই বিধ্বংসী ছিলেন কুশল মেন্ডিস। অবশেষে দলীয় ৯০ রানে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শিকার হিসেবে কুশল মেন্ডিসকে ফেরান আরেক অভিষিক্ত আফিফ হোসেন। অবশ্য তার আগেই ব্যাটে ঝড় তুলে ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ৫৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। অনবদ্য এ ইনিংসের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন তিনি।

মেন্ডিস ফিরে যাওয়ার ২ রান পরই আফিফের ক্যাচ বানিয়ে থারাঙ্গাকে আউট করেন নাগিন ড্যান্সে নিজের দ্বিতীয় উইকেট উদযাপন করেন নাজমুল ইসলাম অপু। এরপর নিরোশান ডিকাভেলা কে নিয়ে দাসুন শানাকা দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দলীয় ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে রুবেল ডিকাভেলা কে আফিফের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠালেও অপরপ্রান্তে সাবলীল ভঙ্গিতে খেলছিলেন শানাকা। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৩ ছয় ও ৩ চারের সাহায্যে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছেই ক্ষ্যান্ত হন শানাকা। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা ১৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৩৯ রানের ছোট্ট একটি টর্নেডো ইনিংস খেলেন।