সাকিবকে নিয়ে যা বললেন বিসিবি পরিচালক ফাহিম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নীরব থাকায় ভক্ত-সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছিলেন টাইগার ক্রিকেটের পোস্টারবয় এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হত্যা মামলার আসামিও করা হয়েছে তাকে। কিন্তু হত্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়েই ২২ গজে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
‘সাকিব মানসিকভাবে অনেক’ শক্ত এটা তার সতীর্থরা বলে থাকেন। তার প্রমাণ আরও একবার দিলেন তিনি। এবার সাকিবের মানসিক শক্তি নিয়ে কথা বলেছেন তার শুরু এবং কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গত সপ্তাহে বিসিবির পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফাহিম।
সোমবার (২৬ আগস্ট) মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাকিবের পারফরম্যান্স এবং মানসিক শক্তি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এমন কঠিন সময়ের পারফরম্যান্স করা নিয়ে ফাহিম বলেন, সে (সাকিব) শুধু মেন্টালি স্ট্রং বলব না। যে কোনো অ্যাথলেট হোক, যে কোনো দেশেরই হোক, তারা যখন পারফর্ম করতে মাঠে নামে। আমার মনে হয় না তারা নেগেটিভ প্যাকেজগুলো নিয়ে মাঠে নামে। তারা শুধু তাদের খেলার কথাই ভাবে। ওভাবেই তারা নিজেদের তৈরি করে। যেন অন্য কোনো চিন্তা আদৌ না আসে।
তার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, ওর অন্য কোনো চিন্তা থাকে না। ও শুধু ব্যাটারকে নিয়েই চিন্তা করে। বল কোথায় করবে, কীভাবে করবে। অন্য কোনও সময় আসতে পারে চিন্তা, তবে বল করার সময় চিন্তা আসে না। এটাই ওকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। অন্যদের আমরা দেখেছি, বিভিন্ন ঘটনা, সমালোচনা তাদেরকে ন্যাচারাল খেলা খেলতে দেয় না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক না।
সাকিবের বোলিং নিয়ে নতুন এই বিসিবি পরিচালক বলেন, সাকিবের বোলিংয়ের মধ্যেই আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি যে সে যখন বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করে সে কমফোর্টেবল ফিল করে না। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সেটা দেখা যায়নি। একটা প্রোপার টেস্ট বোলার যেভাবে বোলিং করে সে সেভাবেই বোলিং করে। বোলিং করার সময় সে নিজের ওপর আস্থা নিয়েই বোলিং করেছে।
তিনি আরও বলেন, যখনই বল তাকে দেওয়া হচ্ছে, উইকেট নেয়ার জন্য সে বোলিং করেছে। অন্যদের সাথেও আলাপ করছে, মিরাজকেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিচ্ছে। টোটাল ইনভলবমেন্ট ছিল। আমার মনে হয় সে নিজেও উপভোগ করেছে। বোলিং নিয়ে তার মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল। সেটা চলে গেছে। আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। এটা ওর পরবর্তীতে কাজে লাগবে।
উল্লেখ্য, আদাবর থানায় করা মামলাটিতে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া রুবেলকে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
মন্তব্য করুন