টেস্ট অধিনায়ক
সাকিব ইন, মুশফিক আউট
২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে হতাশাজনক পারফর্মেন্সের কারণে টেস্ট দলে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সাকিব আল হাসানকে অব্যাহতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তখন মুশফিকুর রহিমকে দেয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। এরইমধ্যে বহু উত্থান-পতন ঘটেছে দলে। ছয় বছর পর ফের রদবদল। মুশফিকের কাছ থেকে ফের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে।
জাতীয় দলের টেস্ট নতুন অধিনায়কের পাশাপাশি সহ-অধিনায়ক হিসেবেও পরিবর্তন এনেছে বিসিবি। এতদিন মুশফিকের ডেপুটি হিসেবে ছিলেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। মুশফিকের সঙ্গে তাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব থেকে। পাশাপাশি দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ রোববার বিকেলে বিসিবির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত হয়েছে।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিবর্তনের আসল বিষয়টি এখন বলা সম্ভব না। তবে আমাদের মনে হয়েছে বাড়তি চাপ না থাকলে মুশফিক ব্যাটিংয়ে আরো ফোকাস করতে পারবেন।
২০০৯ সালে সাকিবকে প্রথমবারের মতো টেস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তরুণ সাকিবের। ২০১১ সালে পর্যন্ত মোট ৯টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। বাকি সবগুলোতেই হারতে হয়।
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার পর মোট ১০৪টি টেস্টে খেলেছে বাংলাদেশ। জয় পেয়েছে ১০টি তে। এর মধ্যে ৭টি ম্যাচই মুশফিকের অধিনায়কত্বে জয় পায় টাইগার বাহিনী। তার নেতৃত্বে ড্র করেছে ৯ টেস্টে। আর হার ১৭টিতে।
এদিকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করার পর নতুন কোচ খোঁজা শুরু করে বিসিবি। এরই মধ্যে ইংলিশ ম্যান রিচার্ড পাইবাস এসে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন বিসিবির কাছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অলরাউন্ডার ফিল সিমনসও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেগেছে।
এর আগে শনিবার দলের সিনিয়র ক্রিকেটর মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিসিবি।
ওয়াই/এএ
মন্তব্য করুন