• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

গেইল তাণ্ডবে খুলনার বিদায়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৪

এতদিন যেন ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুম থেকে জাগলেন মোক্ষম সময়ে। এতে কপাল পুড়ল খুলনা টাইটানসের। ম্যাচকে একাই বের করে জয়ের নায়ক হয়ে যান ক্যারিবীয় দৈত্য। বোলাররা শত চেষ্টা করেও থামাতে পারেননি তিনি। এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন এই দানব। সেঞ্চুরির পথে ১৪ বার বলকে বাউন্ডারি লাইনের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি। গত কয়েক ম্যাচে গেইল শো দেখার জন্যই টিকিট কেটে মাঠে অপেক্ষা করতেন দর্শকরা। এদিন পুরো ম্যাচের টিকিটের টাকা উসুল করে দেন বাঁহাতি বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান।

বিপিএলের ইতিহাসে এটি ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস। গেইলের এই দানবীয় ইনিংসের কারণে খুলনা টাইটানসকে আট উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।

বিপিএলের চলতি আসরে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। আর পুরো বিপিএলের ইতিহাসে এটি দশম সেঞ্চুরি। এর মধ্যে গেইলেরই রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১২ সালে দুইটি ও ২০১৩ সালে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং শুরু করেন ক্রিস গেইল ও সোহাগ গাজী। তবে দলীয় ২৪ রানে সোহাগকে (১) আর্চার বোল্ড করে দিলে ওপেনিং জুটিটা বড় হয়নি। ১ বল পরেই ম্যাককালামকে (০) আরিফুল হকের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন আর্চার। কিন্তু অন্যপ্রান্তে ঠিকই ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন গেইল। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন।

গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে রংপুর। মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ক্যারিবীয় দানব। উইকেটের চারদিকে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটে। গ্যালারিতে দর্শকদের চিৎকারে কান পাতাই দায়। ৪৫ বলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে সিকান্দার রাজা ৯৫ রান করেছিলেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেক আগেই রংপুরের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গেইল। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৪টি। বিপরীতে চার মেরেছেন মাত্র ৬টি। তাকে সঙ্গ দেয়া মোহাম্মদ মিথুনও ৩৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উত্তরবঙ্গের দলটি।

খুলনার হয়ে আর্চার ২টি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে (১৫) ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সোহাগ গাজী। ১৩ রান যোগ হতে লাসিথ মালিঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন (১১)। ৩৪ রানে দুই উইকেট হারায় খুলনা।

ঝড়ো ইনিংসের আভাস দিয়ে ফিরে যান অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর বলে লং-অনে গাজীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ৫৬ রানে আউট হওয়ার আগে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬ বলে করেন ২০ রান।

১৭তম ওভারে আরিফুল হককে (২৯) রবি বোপারার তালুবন্দি করেন রুবেল হোসেন। তার পাঁচ ওভার আগে মাইকেল ক্লিঙ্গারকে (২১) দারুণ ইয়র্কারে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন বোপারা। শেষ ওভারে দারুণ স্লোয়ারে নিকোলাস পুরানকে (২২ বলে ২৮) এলবির ফাঁদে ফেলেন মালিঙ্গা।

রংপুরের পক্ষে মালিঙ্গা ২টি এবং সোহাগ গাজী, নাজমুল, রুবেল, বোপারা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

দানবীয় ইনিংসের জন্য রংপুরের ক্রিস গেইল প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।

এএ/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিপিএল ব্যর্থতার পর ডিপিএলে উড়ন্ত সূচনা মাশরাফীর
বিপিএলের দল বাড়ানো নিয়ে মুখ খুললেন পাপন
ডিপিএল শুরু ১১ মার্চ, পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ
বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহী নোয়াখালীসহ ৪ দল
X
Fresh