আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে পেসারদের : লিটন
চট্টগ্রাম টেস্টে একটি উইকেটও পাননি একাদশে থাকা দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। শুধু উইকেট নিতেই ব্যর্থ হননি তারা, রান আটকাতেও হয়েছিলেন ব্যর্থ। অথচ, চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কান দুই পেসার আসিথা ফার্নান্দো ও বদলি খেলোয়াড় কাসুন রাজিথা মিলে নিয়েছিলেন ৭ উইকেটে।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শরিফুল বোলিং করতে পারেননি চোটে পড়ে। এমনকি ছিটকে পড়েন ঢাকা টেস্টের দল থেকেও। শরিফুল ছিটকে পড়ায় একাদশে জায়গা হয়েছে এবাদত হোসেনের।
কিন্তু চট্টগ্রামের সেই ব্যর্থতা যেন ঢাকাতেও নিয়ে এসেছেন পেসাররা। লঙ্কান ব্যাটারদের ওপর কোনোভাবেই যেন প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না দুই পেসার। দ্বিতীয় দিনে দুই টাইগার পেসার বোলিং করেছেন ৯ ওভার করে। এবাদত হোসেন একটা উইকেট পেলেও খালেদের বোলিং একদমই গড়পড়তা মানের দেখা গেল।
অথচ, চলতি টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান দুই পেসার। শেষ পর্যন্ত পেসাররাই নিয়েছেন ৯ উইকেট, একটি রান আউট বাদে। এমন অবস্থায় পেসারদের আরও দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লিটন দাস।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পেসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে পেসারদের জন্য গতকালও হেল্প ছিল আজকেও ছিল। আমি মনে করি না স্পিনারদের জন্য খুব একটা হেল্প ছিল। তারপরও যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছে আমাদের স্পিনাররা। আমার মনে হয় আমাদের যে দুজন ফ্রন্ট লাইনে বোলার আছেন তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে।’
ঢাকা টেস্টে লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা ২৮.২ ওভারে ৭ মেডেন নিয়ে দিয়েছেন ৬৪ রান, আসিথা ফার্নান্দো ২৬ ওভারে ৩ মেডেন নিয়ে দিয়েছেন ৯৩ রান। রান আটকানোর দিক থেকেও পিছিয়ে দুই টাইগার পেসার। দ্বিতীয় দিনে খালেদ ৯ ওভারে ১ মেডেন নিয়ে দেন ২৭ রান, এবাদত ৯ ওভারে দিয়েছেন ৩১ রান।
লিটন মনে করছেন উইকেট নিতে না পারলেও রান আটকানোর দিক থেকে যেন আরও সচেতন হন দুই পেসার।
‘উইকেট না বের করতে পারলেও ইকোনমি দিয়ে যদি বল করে কিছু আপ অ্যান্ড ডাউন হবে। তো এই জিনিসটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
মন্তব্য করুন