• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ব্যর্থ হয়ে লিটন এখন পোক্ত

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৪ মে ২০২২, ১৮:৫৮
লিটন দাস

ক্যারিয়ার শুরুর পর ২৬টি ম্যাচেও শতকের দেখা পাননি লিটন দাস। যাকে কী না বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার ধরা হয়, তার ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন দশা মেনে নিতে পারছিলেন না নিজেও। শতকের দেখা না পেলেও নব্বইয়ের ঘরে যেতে পেরেছিলেন একবার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২১ সালে ৯৫ রানে ওই ইনিংসটা খেলার পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত শতকের দেখা। এরপর লিটন ছুটছেন বাজির ঘোড়ার মতো। তার ব্যাটে রানের ফোয়ারা। শতকের সংখ্যা খুব একটা না হলেও নিয়মিতই রান পাচ্ছেন তিনি।

চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও খেলেন ৮৮ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস। এই ম্যাচেও সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে। তবে সেই হতাশা ঢাকতে পেরেছেন ঢাকা টেস্টে।

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। ১৪১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে রক্ষা করেছেন বিপদ থেকেও। শেষ দশটি ম্যাচেই তিনটি শতক পেয়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

হঠাত কীভাবে এমন বদলে গেলেন লিটন? ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বদলে যাবার পেছনে কারো কাউন্সিলিং করে কী না। এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেছেন, ‘নাহ তেমন কিছু না। কেউ কাউন্সিলিং করে না। মানুষ আসলে যখন ব্যর্থ হয়, তখন মানুসিকভাবে শক্ত হওয়ার দরকার পড়ে। তখন মাথায় মানুষিক ভাবে শক্ত হওয়ার প্রেরণা আসে। আপনি ব্যর্থ না হলে আসলে বুঝবেন না যে আপনার মানসিক অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে।’

লিটন এখন আলোচনা-সমালোচনাকে স্বাভাবিক ভাবেই নেন। তিনি বুঝতে শিখেছেন, ভালো খেললে মানুষ বাহবা দেবে আবার খারাপ খেললে সমালোচনা করবে।

‘ভালো খেললে মানুষ বাহবা দেবে, আবার খারাপ খেললেও সমালোচনা করবে। একই জিনিস হতেই থাকবে। কারণ তারা চায় আমি সবসময় পারফর্ম করি। তো এসব এখন আর আমাকে স্পর্শ করে না। আমি নিজের কাজে, নিজের অনুশীলনে মনোযোগ দিচ্ছি। নিজের সব ঠিকঠাক করার চেষ্টা করছি। যদি আমার চেষ্টায় সমস্যা থাকে তাহলে নিজের কাছে খারাপ লাগে। আমি শুধু আমার কাজটা করছি, ফল স্রষ্টার হাতে।’

লিটনের সাফল্যের সবচেয়ে বড় দিক, তিনি বুঝতে পেরেছেন দল তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করে। তাই তো দলের আস্থার প্রতি সুবিচার করতে নিজেকেও সেভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করে চলেছেন।

‘আমার দল আমার কাছে চায় যে আমি পারফরম্যান্স করি। তারা চায়, আমি যখন ব্যাটিংয়ে যাব তখন আমি বড় ইনিংস খেলব। এই জিনিসটা আমাকে অনেক সাহায্য করে যে, আমার দল আমার ওপর অনেক আস্থা রাখে। এটা আমার জন্য বেশ কাজে দেয়। আমি এখন বুঝি টেস্ট ক্রিকেটের প্যাটার্নটা কেমন। সেটা বুঝেই খেলার চেষ্টা করি।’

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh