কার্ডিফের দুই মহাকাব্যের সাক্ষী ম্যাশ
ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনস স্টেডিয়াম টাইগারদের জন্য লাকি গ্রাউন্ড। এ স্টেডিয়ামে শতভাগ জয় তাদের।
২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ মাঠেই জয় পায় বাংলাদেশ। আর শুক্রবার নিউজিল্যান্ড বধ করার সুখস্মৃতি এখনো তাজা।
দু’টি ম্যাচেই ইতিহাস গড়ার সাক্ষী বর্তমান টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
২০০৫ সালের ১৮ জুন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ম্যাচের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে বোল্ড করে লড়াইয়ের আভাস দেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’খ্যাত মাশরাফি।
ম্যাচে আর কোনো উইকেট না পেলেও বিশ্বসেরা দলটির সঙ্গে ১০ ওভার বোলিং করে ২টি মেইডেন ওভার পান তিনি।
সঙ্গে গিলক্রিস্টের উইকেট নিয়ে মাত্র ৩৩ রান দেন। তখনকার বাংলাদেশের জন্য এটিই ছিল বিশাল অর্জন।
ম্যাশের চমৎকার বোলিং পারফর্মেন্স ও মোহাম্মদ আশরাফুলের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে জয় পেয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন করে জায়গা করে নেন টাইগাররা।
এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। অভিজ্ঞ মাশরাফি এখন দলের হাল ধরেছেন। দলকে নিয়ে এসেছেন র্যাকিংয়ে নিজেদের সেরা অবস্থানে।
শুক্রবার সেই কার্ডিফেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘ডু অর ডাই’ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও ১টি মেইডেন ওভারে তাদেরকে চাপে ফেলে মাশরাফি। রান দেন মাত্র ৪৫।
সাকিব আল হাসানের ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শতক ও ২২৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপে এ ম্যাচটিও জিতে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর ওয়েস্টইন্ডিজের প্রেজেন্টার ইয়ার বিশপের সঙ্গে আলাপকালে মাশরাফি বলেন, এটি একটি অসাধরণ অনুভূতি। দুটি ম্যাচেই আমি এখানে ছিলাম (কার্ডিফের জয়ের)। প্রথমটি অস্ট্রেলিয়া। আর এবার নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে আমরা বেশ সন্তুষ্ট।
এ ম্যাচের আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল ইনিংসের প্রায় শেষ ভাগে মোসাদ্দেক হোসেনকে বোলিং করতে দেয়া। পার্টটাইম বোলার মোসাদ্দেক তিন ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে খরচ করেন মাত্র ১৩ রান। এতেই নিউজিল্যান্ডের ইনিংসটি ঘুরে যায়।
এ নিয়ে ম্যাশ বলেন, মোসাদ্দেকের ৩টি ওভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিসাম ও কোরি এন্ডারসনকে ফেরানো পর তাদেরকে বড় সংগ্রহ করতে ওভারগুলো সাহায্য করেছে।
সাকিব ও মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে অধিনায়ক বলেন, তারা দু’জন যেভাবে খেলেছেন এটি সত্যি বিস্ময়কর। আমরা ভালো খেলে এগিয়ে যেতে চাই।
ওয়াই/সি
ইংল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে টাইগার ভক্তরা
আইসিসি ফেসবুক কভার পেজে মাহমুদুল্লাহর ছবি
মন্তব্য করুন