প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পাকিস্তানের দরকার ২২০
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে ২২০ রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রতি ওভারে মাত্র ৪.৪ করে এ রান তুলতে হবে সরফরাজবাহিনীকে।
বুধবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নেমে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও যৌক্তিক করে তোলেন দু’ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। তবে দলীয় ৪০ রানে ইমাদ ওয়াসিমের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে হাশিম আমলা ফিরে গেলে খেই হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে তারা। দলীয় স্কোর বোর্ডে ১১৮ রান তুলতেই আমলা, ডি কক, ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসিস, জেপি ডুমিনি ও পারনেলের মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে দলটি ২শ’ করতে পারবে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ক্রিস মরিসকে নিয়ে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার।
কিন্তু সেই যাত্রায় খুব বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি মরিস। ১৬৫ রানে জুনায়েদ খানের বলে তিনি ফিরে গেলে ফের সেই শঙ্কা দেখা দেয়। এ যাত্রায় কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে আবারো তা নিভিয়ে দেন কিলার খ্যাত মিলার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের সব ব্যাটসম্যান যাওয়া-আসার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেও এদিন ভিন্ন পথে হেঁটেছেন ডেভিড মিলার। দুর্যোগের ঘনঘটার মধ্যেও বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। স্রোতের বিপরীতে এক প্রান্ত আগলে রেখে তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০৪ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন টি-২০ স্পেশালিস্ট।
এদিন পাকিস্তানের সেরা বোলার হাসান। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান তোলার গতি টেনে ধরে রাখেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়ে এতে অবদান রাখেন জুনায়েদ খান ও ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া ১ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের রানের চাকা মন্থর করে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ হাফিজ।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন