বিপিএল
রানার এক ওভারেই হেরে গেল খুলনা
খুলনা টাইগার্সের জয় পেতে শেষ দুই ওভারে লাগে ২১ রান। তখনও মুশফিকুর রহিম উইকেটে। ১৮তম ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১২১ রান তুলেছিল খুলনা। কিন্তু ১৯তম ওভার আসতেই সব গুলিয়ে ফেলে।
মেহেদী হাসান রানার করা ১৯তম ওভারটিতে একে একে ৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন ফরচুন বরিশালকে। ওভারের প্রথম বলে ফরহাদ রেজাকে, পঞ্চম বলে কামরুল ইসলাম আর শেষ বলে মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন সাকিব-রানারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৪১ রান খুব একটা বড় সংগ্রহ নয়। কিন্তু এই কটা রানের লক্ষ্য দিয়েও খুলনার মতো দলকে ১২৪ বেঁধে ফেলা অনেক বড় ব্যাপার।
লক্ষ্য টপকাতে নেমে ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার এদিন ৪ রান করে ফেরেন মুজিবুর রহমানের করা প্রথম ওভারেই। একই ওভারে সৌম্য সরকারকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান এই আফগান স্পিনার।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে দিশেহারা খুলনাকে খানিক স্বস্তি দেন রনি তালুকদার ও শেখ মেহেদী। তবে সাকিব আল হাসানের বলে ১৭ রান করে ফিরতে হয় মেহেদীকে। এরপর লিন্টটের বলে ১৪ রানে ফেরেন রনি।
মুশফিকুর রহিমকে লড়তে হলো ইয়াসির আলীকে নিয়ে। ইয়াসিরও ২৩ রানে ফেরেন রানার বলে বোল্ড হয়ে। দুই লঙ্কান থিসারা পেরেরা ১৯ আর সেকুগে প্রসন্ন ২ রান করে ফেরার পর পুরো চাপটা পড়ে মুশফিকের কাঁধে।
শেষ পর্যন্ত বাকি ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই করলেও মুশফিক জেতাতে পারেননি দলকে। খুলনার অধিনায়কের ব্যাটে আসে ৩৬ বলে ৪০ রান।
বরিশালের পক্ষে ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান, ২টি করে নেন মুজিব ও লিন্টট। ১ উইকেট করে নেন শফিকুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে শেষ হয় বরিশালের ইনিংস। এদিন ব্যাটিং লাইন-আপে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আসে। আগের দুই ম্যাচে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ক্রিস গেইল আসেন ওপেনিং করতে।
গেইলের ব্যাটে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৫ (৩৪) রান। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৩ ও নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ১৯ রান।
খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম, থিসারা পেরেরা ও ফরহাদ রেজা। একটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী, শরিফুল্লাহ ও সেকুগে প্রসন্ন।
এম/
মন্তব্য করুন