চট্টগ্রাম টেস্ট
আফ্রিদির ফাইফারে বড় লিডের পথ এলোমেলো বাংলাদেশের
শেষ হলো বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসের ৪৪ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে যোগ করেছে ১৫৭ রান। তাতে পাকিস্তানের সামনে লিড দাঁড় করিয়েছে ২০১ রানের।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদির গতির সামনে এলোমেলো হয়ে যায় টাইগারদের টপ অর্ডার। ওপেনার সাদমান ইসলামকে ১ (১২) রানে ফেরান এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে শূন্য রানে এবং আরেক ওপেনার সাইফ হাসানকে ১৮ (৩৪) রানে ফেরান কট এন্ড বোল্ড করে।
তৃতীয় দিনের শেষ উইকেট হিসেবে মুমিনুল হককে (০) তুলে নেন আরেক পেসার হাসান আলী। দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। দুজনে মিলে দিন শেষ করেন ৩৯ রানে।
আজ চতুর্থ দিনের সকালে ব্যাট করতে নেমে হাসান আলীর প্রথম বলেই চার হাঁকান মুশফিক। তবে এক বল পরেই বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে লম্বা জুটি গড়ার আভাষ দেন ইয়াসির।
কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই আফ্রিদি। ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলটা লাফিয়ে উঠে হেলমেটে লাগে ইয়াসিরের। মাথায় ব্যথা পেলেও খেলা চালিয়ে যান তবে সেটি স্থায়ী হয় মাত্র এক ওভার।
নোমান আলীর ওভারটা খেলেই মাঠ ছাড়েন ইয়াসির। তার আগে করেন ৭২ বলে ৩৬ রান। লিটনকে সঙ্গ দিতে এসে মেহেদী হাসান মিরাজও থিতু হতে পারেননি, সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে কাঁটা পড়েন ১১ (৪৪) রানে।
ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে ব্যাট করতে নেমে ভালোই সামলাচ্ছিলেন সোহান তবে, খেসারৎ দিতে হলো সাজিদের বলে বড় শটের লোভ সামলাতে না পেরে। ৩৩ বলে ১৫ রান করে ক্যাচ দেন ফাহিম আশরাফের হাতে।
এদিকে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক। প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের ইনিংসের পর এই ম্যাচেও তার ব্যাট হাসছিল, হাসছিল বাংলাদেশ। তার ব্যাট দেখাচ্ছিল বড় লিডের স্বপ্ন। কিন্তু এলোমেলো করে দিলো সেই আফ্রিদি। এলবিডব্লু হয়ে বিদায় নিতে হয় ৫৯ (৮৯) রান করে।
এরপর আবু জায়েদকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ বার পাঁচ উইকেট নেয়ার স্বাদ নেন আফ্রিদি। তাইজুল ইসলামকে শূন্য রানে ফেরান সাজিদ খান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৫ উইকেট নেন আফ্রিদি, ৩ উইকেট নেন সাজিদ খান ও ২টি উইকেট নেন হাসান আলী।
এমআর/
মন্তব্য করুন