• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

শারজাহকে জোহানসবার্গ বানাতে পারবে টাইগাররা!

আরব আমিরাত থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:১৭
ছবি- সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে টাইগাররা প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে সেদিন উইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিল টাইগাররা।

এরপর পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও মূল পর্বের কোনো ম্যাচেই আর জয়ের দেখা মেলেনি। তবে এবার অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে টাইগাররা।

তবে শ্রীলঙ্কা আর ইংল্যান্ডের কাছে হেরে অনেকটা ব্যাক-ফুটে চলে গেলেও ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যে ম্যাচটা খেলতে নামবে বাংলাদেশ, সেখানে প্রতিপক্ষ সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে হেরেছিল ৭৩ রানে।

এবার উইন্ডিজদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে টাইগারদের অনুপ্রেরণা উইন্ডিজের মাটিতে সবশেষ সিরিজে জয়। ২০১৮ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তাদের।

বাংলাদেশ দলের উইকেট রক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান সংবাদ সম্মেলনে যেমনটা বলছিলেন, ‘আমরা শেষ সিরিজগুলোয় ওদের সঙ্গে ভালো করেছি। এটা অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে এবং এ ম্যাচটা যদি আমরা জিততে পারি তবে অবশ্যই আমাদের মধ্যে টুর্নামেন্টের জন্য ইতিবাচক মানসিকতা চলে আসবে।’

সোহানের প্রত্যাশা উইন্ডিজকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সোহান বলেন, ‘আমরা কেবল একটা ম্যাচ জেতার জন্য অপেক্ষা করছি। কালকের ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। এখানে সবাই নিজের শতভাগ দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে বলে আমি মনে করি। খেলা শেষেই ফল দেখা যাবে কিন্তু আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ দুই তিনটা সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো খেলেছি, সেগুলো আরও বেশি অনুপ্রেরণা দেবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে পাঁচটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ছয়টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে দুইবারের দেখায় অবশ্য ব্যবধান ১-১।

তবে শারজাহতে ভয়ের কারণ ছোট মাঠ। এই মাঠে ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলরা জ্বলে উঠলে কপাল পুড়বে টাইগার বোলারদের। সোহান যেমনটা বলছিলেন, ‘আসলে আমরা প্রথম ম্যাচে শারজাহয় খেলেছি। তার আগে থেকে অনেক কিছুই শুনছিলাম যে ওই পিচে রান হচ্ছে না বা ১৫০-১৬০ ভালো যথেষ্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম যে আমরা ১৭০ করেও জিততে পারিনি। তো আমার মনে হয় যে, কাল কোন উইকেটে খেলা হবে বা কেমন থাকবে পিচ তা যখন ম্যাচে যাব তখনই বুঝতে পারব। এর আগে থেকে কিছু বলার নেই। এমনিতে আমরা জানি যে উইন্ডিজ দলে খুব পাওয়ার হিটার আছে, এটার ওপরই ওরা বেশি ফোকাস করে। সেটা নিয়ে আমাদের টিম মিটিংয়ে কথা হয়েছে যেন আমরা আমাদের পরিকল্পনা স্মার্টলি কাজে লাগাতে পারি এবং ডিসিশন মেকিং অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় সেটা যেন ঠিক মতো করতে পারি, সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।’

এমআর/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh