হেরেও শিষ্য মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ গার্দিওলা
প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) হয়ে প্রথম গোল তুলেছেন। তাও আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। যা লিওনেল মেসির চোখে ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’ অন্যদিকে চোখ ধাঁধানো গোল হজম করেও সাবেক শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসালেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।
হাঁটুর চোট থেকে ফিরতেই ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের জাদু। পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দো প্রিন্সেসে বক্সের সীমানা থেকে দুর্দান্ত এক গোল তুলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
‘লক্ষ্যভেদ করতে পেরে আমি বেশ খুশী। কয়েকদিন খেলতে পারিনি। এই মাঠে এটা ছিল আমার দ্বিতীয় ম্যাচ। এখনও নতুন দলের সদস্যের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। যতবার মাঠে নামবো ততবার নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেরাটা দিতে হবে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুটা ভালো হয়নি পিএসজির। বেলজিয়ান দল ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ১-১ ব্যধানে ড্র করতে হয়েছিল প্যারিসের দলটির। যদিও এদিন ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন সিটিজেনদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ালো মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল।
মেসির ভাষায়, ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা (ম্যানসিটি) বেশ শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচে ব্রুগের বিপক্ষে ড্রয়ের পর এই ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি এর ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে চাইছিলাম। আমার বেশি খেলার সুযোগ হয়নি। এখনও চেষ্টা করছি সতীর্থ ও দলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার। আজকের দিনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
বার্সেলোনায় মেসি-গার্দিওলার জুটির কথা সবার জানা। দুইজনে মিলে জিতেছেন অনেক ট্রফি। এই ম্যাচটি ছিল গুরু শিষ্যের লড়াইও। এই যাত্রায় জয় পেয়েছেন শিষ্য। এখনও মেসির গুণগান গাইতে কার্পণ্য করেন না ম্যানচেস্টারের কোচ পেপ গার্দিওলা।
‘গোলটা অসাধারণ ছিল। আমরা সবাই জানি ৯০ মিনিটে মেসিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। মাত্রই চোট থেকে ফিরেছেন। আমাদের জানা আছে, দৌড়ে এসে বক্সের সামনে আসার পর তার কি করার ক্ষমতা আছে। তাকে রুখতে পারা অসম্ভব। তবু আমরা চেষ্টা করেছি যাতে বেশি সুযোগ না পান।’
চলতি মৌসুমেই ছোট বেলার দল বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছেন লিও মেসি।
‘তার জন্য শুভ কামনা রইল। যদি প্যারিসের অধ্যায়টায় তিনি উপভোগ করতে পারেন, তাহলে আমি অনেক খুশী হবো।’ যোগ করেন মেসির সাবেক গুরু।
ওয়াই
মন্তব্য করুন