• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বড়দের বিশ্বকাপে বড় চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় শামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক, আরটিভি নিউজ

  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫২
শামিম হোসেন

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার এক বছরের মাথায় জাতীয় দলে শামিম হোসেন পাটোয়ারি। ঘরোয়া লিগে মুগ্ধতা ছড়িয়ে জাতীয় দলেও জায়গা পাকা করতে লড়ছেন এই অল-রাউন্ডার।

ব্যাটিং-বোলিংয়ের চাইতে শামিমের ফিল্ডিংটাই নজরে এসেছে সবার। তার ক্ষিপ্রগতির ফিল্ডিং এক কথায় মুগ্ধ করেছে সবাইকে। ব্যাট হাতেও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে।

ওই সিরিজে দুই ম্যাচের একাদশে সুযোগ পেয়ে ২৯ (১৩) রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন শামিম। পরের ম্যাচে খেলেন অপরাজিত ৩১ (১৫) রানের ইনিংস।

ওই দুই ম্যাচের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হলেও ব্যর্থ হন। এক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও তিন ম্যাচে করেন যথাক্রমে ৪, ৩, ৩ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬ ম্যাচে ১৭.৫০ গড়ে করেছেন মোট ৭০ রান। তবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ ম্যাচে ৩১ ইনিংস ব্যাট করে ২০.২৩ গড়ে করেছেন ৫০৬ রান। যেখানে সর্বোচ্চ ৫২* রানের একটি ইনিংস রয়েছে।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের একাদশে এখনও সুযোগ না পেলেও শুক্রবার পঞ্চম শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে শামিমের।

তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষিত ১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়েছে এই তরুণ অল-রাউন্ডারকে।

স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত শামিম। পঞ্চম ম্যাচের আগে বিসিবির দেয়া ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ নিয়ে জানিয়েছেন, বড় মঞ্চে বড় চ্যালেঞ্জ নিতে চান তিনি।

“বিশ্বকাপে যারা অন্যান্য দলে খেলবে বড় বড় প্লেয়ারদের সাথে খেলব। ওদের সাথে খেলটা আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করবে। যখন নাইনটিন বিশ্বকাপ খেলি, তখন জাতীয় দল অত মাথায় ছিল না। খেলাতেই ফোকাস ছিল। আর চিন্তা ছিল যে যত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে আসা যায়। তাই এখন আল্লাহর রহমতে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, অনেক আনন্দিত আমি।”

অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় সমবয়সীদের সঙ্গে খেলেছেন। এখন বড়দের দলে খেলছেন, পার্থক্যও দেখছেন আগের তুলনায় অনেক।

“অনূর্ধ্ব-১৯ দল আর জাতীয় দলের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আমরা যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলি তখন প্রতিপক্ষের বোলাররা ১৩৫ কি.মি এর আসে পাশে বোলিং করে। ১৪০ খুব কমই বোলিং করে। জাতীয় দলে যখন খেলি তখন বেশিরভাগ সময় ১৪০ থেকে ১৪৫ গতির বল খেলতে হয়। আবার ১৫০ এ খেলতে হয়। এখানে অনেক পরিবর্তন থাকে। সবকিছুই পরিবর্তন হয়। ক্রাউড, ফ্যান সব কিছুই অনেক ভিন্ন মনে হয়।”

শামিমের সঙ্গে বিশ্বকাপের দলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সতীর্থ শরিফুলও রয়েছেন। বড়দের মাঝে যা স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তির। শামিমের আশা অ-১৯ দলের আরও কয়েকজন সতীর্থকে জাতীয় দলে পাবেন।

“আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুইজন সদস্য আছি। শরিফুল আছে এবং আমি আছি। এটা অনেক আনন্দের বিষয়। আশা করি আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থেকে আরও ক্রিকেটার জাতীয় দলে আসবে।”

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh