বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
নাসুম যেভাবে সফল
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই দুর্দান্ত নাসুম আহমেদ। অজিদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই করেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ওই ম্যাচে নাসুম নেন ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট। অজিদের ব্যাটিং লাইন-আপে একাই নামান ধ্বস।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাঁচ ম্যাচে নেন ৮ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দলের তুরুপের তাস নাসুম। প্রতিটি ম্যাচেই নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে।
বুধবার কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ভাঙলেন অজিদের বিপক্ষে করা নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা।
কিউইদের বিপক্ষে আজ ৪ উইকেট নেন ১০ রান দিয়ে। ৪ ওভার বোলিং করে মেডেন নেন ২টি ওভার। তার ১৭ বলে কোনও রানই নিতে পারেননি কিউই ব্যাটাররা। মারতে পারেনি কোনও চার-ছয়।
ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও নাসুমের হাতেই উঠেছে স্বাভাবিক ভাবে। খেলা শেষ জানালেন কীভাবে সফল তিনি। নাসুম বলেছেন, অধিনায়কের কাছে থেকে কোনও চাপ ছিল না। সিরিজ জয়টাই ছিল তার কাছে মুখ্য।
“সিরিজ জিতিতে পেরে আমি খুশি। অধিনায়কের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না। আমি যতটা সম্ভব কম রান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। উইকেটে ভালোই স্পিন ধরছিল, আমার মনোযোগ ছিল বলকে এক জায়গায় রাখা।”
কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন বরাবরই ভয়ংকর। আজও সাকিবের ওভারে সুইপ শটে ছক্কা মেরে জানান দিচ্ছিলেন দারুণ কিছুর তবে নাসুমের ফ্বিতিয় ওভারে ফিরতে হয় সাজঘরে।
ফিনকে ফেরানো নিয়ে নাসুম বলেছেন, “আমার কাছে ফিন অ্যালেনের উইকেটটা সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। আর গ্র্যান্ডহোমকে তো আমি আজ নিয়ে তিনবার আউট করলাম। তো অ্যালেনের উইকেটটাই আমার কাছে বেশি ভাল লাগছে। ও রিভার্স সুইপ করতে চাচ্ছিল, আমি ওই ডেলিভারিটা খুব জোরে বল করেছি আর ও মিস টাইম করেছে। আর এর আগের ম্যাচেও আমার লক্ষ্য ছিল যেন ওর উইকেটটা পাই আমি। আমার অভিষেক উইকেটও অ্যালেন।”
চলতি সিরিজে চার ম্যাচে নাসুম তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে উইকেট শূন্য থাকলেও যথাক্রমে ২, ১, ০ ও ৪ উইকেট তুলে নেন।
এমআর/
মন্তব্য করুন