চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘সেরা দলে’ নেই শচীন
আসছে ১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। টুর্নামেন্টটি শুরু হবার আগে সর্বকালের সেরা একাদশ ঘোষিত হল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটের এ একাদশ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। সর্বকালের অন্যতম এ সেরা ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি দলটিতে।
ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি হয়েছেন এই দলের অধিনায়ক। উইকেট রক্ষক হিসেবে স্বদেশী রাহুল দ্রাবিড় সুযোগ পেয়েছেন এ একাদশে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার তিনজন, দক্ষিণ আফ্রিকার দু’জন, নিউজিল্যান্ডের দু’জন, শ্রীলঙ্কার ১ জন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১ জন করে ক্রিকেটারের নাম এসেছে। একাদশে টেস্ট খেলুড়ে দেশ পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের কেউ স্থান পায় নি।
ক্রিস গেইল
ওপেনার হিসেবে এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানকে দলে নেয়া হয়েছে। ১৭ ম্যাচে ৭৯১ রান আছে তার। সঙ্গে আছে ১৭টি উইকেট।
হার্শেল গিবস
গেইলের সঙ্গে পার্টনার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এ হার্ড হিটার। ১০ ম্যাচ খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৪৬০ রান আছে তার।
জ্যাক ক্যালিস
ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৬৫৩ রান করেন ও ২০টি উইকেট নিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রফি জেতে। সেবারের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন।
সৌরভ গাঙ্গুলি
দলের অধিনায়ক তিনি। ১৩ ম্যাচে ৬৬৫ রান করেছেন। ২০০০ সালের টুর্নামেন্টে ভারত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে হারে, সে বছর তিনি সেমিফাইনাল ও ফাইনালে শতরান করেন। তার নেতৃত্বেই ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
ড্যামিয়েন মার্টিন
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তিনি। ২০০৬ সালের বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন মার্টিন। টুর্নামেন্টে মোট ১২ ম্যাচ খেলে ৪৯২ রান করেছেন।
রাহুল দ্রাবিড়
২০০২ সালের টুর্নামেন্টে উইকেটকিপার হিসেবে খেলেছিলেন। এই দলেও তিনি উইকেটকিপার হয়েছেন। ১৯টি ম্যাচ খেলে তিনি ৬২৭ রান করেছেন।
শ্যেন ওয়াটসন
২০০৬ ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন এ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। তিনি টুর্নামেন্টে মোট ৪৫৩ রান করেছেন ও ১৭টি উইকেট নিয়েছেন। ২০০৯ সালের আসরে দু’টি সেঞ্চুরিও আছে তার।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরি
নিউ জিল্যান্ডের সেরা এ স্পিনার ১৭টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ম্যাচ খেলে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন এবং ২৯৯ রান করেছেন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ হল ৭৯ রান।
কাইল মিলস
নিউ জিল্যান্ডের ডান হাতি এ পেসার এই টুর্নামেন্টে মাত্র ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৮ উইকেট। ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে মিলস নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এই টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
মুত্তিয়া মুরালিধরন
মাত্র ১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ম্যাচ খেলে ২৪ উইকেট নিয়েছেন মুরালি। ২০০২ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কা যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লঙ্কা টিমের তিনি সদস্য ছিলেন।
গ্লেন ম্যাকগ্রা
কিংবদন্তী এ অজি পেসার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১২ ম্যাচ খেলে ২১ উইকেট নিয়েছেন। ২০০৬ সালে বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন ম্যাকগ্রা।
ওয়াই/জেএইচ
মন্তব্য করুন