• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ

'ম্যাচটা জিততে মরিয়া ছিল সবাই'

ক্রীড়া প্রতিবেদক, আরটিভি নিউজ

  ০৩ আগস্ট ২০২১, ২৩:০৬
১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নাসুম হয়েছেন ম্যাচ সেরা

২০০৫ সালে কার্ডিফে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ। যদিও সেটা ছিল ওয়ানডে ম্যাচ। এরপর ১২ বছরের অপেক্ষা। ২০১৭ সালে মিরপুর টেস্টে হারানো গেলেও টি-টোয়েন্টির জয় অধরাই ছিল।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণকে আইসিসি স্বীকৃতি দেয়ার পর গত ১৫ বছরেও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় চারবারই জয় পায় অজিরা।

দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষা শেষে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে রাজি হয় ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অনুশীলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে এসে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ধরাশায়ী হয়েছে টাইগারদের কাছে।

১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অজিরা হেরেছে ২৩ রানে। এর আগে আরব আমিরাতকে ১৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু অজিদের এত কম রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েও ১০৮ রানে বেঁধে ফেলা চাট্টিখানি ব্যপার নয়। মিরপুরে এটি অজিদের দ্বিতীয় সর্বনিন্ম রান। এর আগে এই মাঠে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮৬ রানে অল-আউট হয় অজিরা।

তবে এই কঠিন কাজটাই সহজ করে দিয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন ম্যাচ। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

ম্যাচ শেষে নাসুম জানিয়েছেন, সবার চেষ্টাই ছিল ম্যাচটা জেতার। এর আগে অজিদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে জিততে না পারাটাও শক্তিতে পরিণত হয়। তিনি জানান, ম্যাচের আগের দিন দোয়াও করেছিলেন ম্যাচ জেতার।

“অস্ট্রেলিয়া দলকে হারানোর ব্যাপারে একটাই চিন্তা ছিল যে আমরা জিতি। কাল আমি দোয়াও করছিলাম যে আল্লাহ এখনও আমরা একটা ম্যাচও জিতিনি যেন এবার জিততে পারি। তো সবাই মিলে চেষ্টা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ সফল হয়েছি। সবার ইচ্ছা ছিল ভাল কিছু একটা করে দেখানোর। আর ওই ইচ্ছার কারণে আমরা সফল হয়েছি।”

মাত্র ১৩১ রানে ইনিংস শেষ হলেও বোলিংয়ে নামার আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কিছু কথা ও সাকিব আল হাসানের কিছু টেকনিক উইকেট পেতে সহায়তা করেছে বলে জানান নাসুম।

“যখন আমরা ১৩১ করেছি তখন নামার আগে রিয়াদ ভাই বলতেছিল আমরা এ রানেই ফাইট করব, ডট বল করব, যতটুক পারি চেষ্টা করবো জেতার জন্য। তো ওই ডট বলের চিন্তাই করছিলাম। যখন প্রথম দুটো বল করলাম ব্যাক অব লেন্থে তখন সাকিব ভাই আমাকে বলল এই উইকেটে আস্তে বলটাই ভাল এবং সামনে করলে ভাল হয়। তো ওটাই চেষ্টা করেছি। চারটা ওভার যে করেছি সবসময়ই সাকিব ও রিয়াদ ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছে। রিয়াদ ভাই বলছিল ওকে ওর মতো বল করতে দে। তো ডট বল করার চেষ্টাতেই সফল হয়েছি।”

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh