নারী ক্রিকেটের আইডল হতে চান আবতাহা
ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সংস্করণ দ্য হান্ড্রেড। ইংল্যান্ডের মাটিতে পুরুষ ও নারীদের আলাদা দুটি টুর্নামেন্ট চলমান রয়েছে। বার্মিংহাম ফনিক্সের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে আবতাহা মাকসুদের। মাঠে হিজাব পরে নেমে স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের এই স্পিনার শিরোনাম হয়েছেন।
১৯৯৯ সালে স্টকল্যান্ডের গ্ল্যাসগোতে জন্ম আবতাহার। ২০১৮ সালের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় তার। ১৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৩টি উইকেট তুলেছেন তিনি।
স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ২২ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি এত বড় মঞ্চে খেলবো। যখন বড় হচ্ছিলাম ক্রিকেটে কাউকে রোল মডেল হিসেবে পাইনি। আমি আশাবাদী হান্ড্রেড ক্রিকেট আমাকে উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দিবে। যার মাধ্যমে আমাকে দেখে অন্যরাও উজ্জীবিত হবে।’
অন্যদের মতো আবতাহার যাত্রাটা মসৃণ ছিল না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। তার বাবা পাকিস্তানি। বাবা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির বাগানে খেলতে হয়েছে।
তার ভাষায়, ‘আমি প্রথম যেই ক্লাবে যাই সেখানের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। ভেবেছিলাম মেয়েদের পাবো। তবে হতাশ হই। একটু ভীত ছিলাম। তবে আমার ভাইদের সমর্থন পেয়েছি।’
মাত্র ১২ বছর বয়সী স্কটল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে অভিষেক হয় তার। তাইকোয়ান্ডোতে ব্ল্যাক বেল্টও আছে তার। ২০১৪ গ্ল্যাসগো কমনওয়েলথ গেমসে স্কটল্যান্ডের পতাকাও বহন করছিলেন তিনি।
ক্রিকেটের শুরুর দিকের কথা তুলে ধরে আবতাহা বলেন, ‘সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলে ছিল, যারা মেয়েদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী ছিল না। তবে কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়ে খেলা চালিয়ে যাই।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন