করোনায় অলিম্পিক: অ্যাথলেটদের যৌন মিলন ঠেকাতে অভিনব পন্থা
২৩ জুলাই শুরু হচ্ছে অলিম্পিক। ক্রীড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আয়োজন চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। ৫০টি ডিসিপ্লিনের ৩৩৯টি গেমসে অংশ নেবেন অ্যাথলেটরা। করোনাভাইরাস মহামারীতে জাপানের রাজধানী টোকিওতে বসেছে এবারের আসর। প্রায় ১১ হাজার অ্যাথলেটের মহাযজ্ঞে যৌন মিলন ঠেকাতে ব্যতিক্রমী উদ্যেগ নিয়েছে আয়োজকরা।
অলিম্পিক চলাকালীন করোনা সংক্রমণ রোধে গেমস ভিলেজে আয়োজকদের বিশেষ ব্যবস্থা দেখে অ্যাথলেটরা অবাক। প্রতিযোগীদের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী খাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে গেমস চলাকালীন একে অপরের ঘনিষ্ঠ হতে না পারে অংশগ্রহণকারীরা।
মার্কিন দৌড়বীদ পল চেলিসো ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ৫০০০ মিটারে রূপা জিতেছিলেন। এবারের আসরে সোনা প্রত্যাশী এই অ্যাথলেট টুইটারে নিজেদের ক্যাম্পে থাকা খাটের ছবি প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, কার্টন বোর্ড (কার্টন বক্স পেপার বোর্ড) দিয়ে তৈরি খাটে থাকতে হচ্ছে তাদের।
পল চেলিসো লিখেছেন, ‘কার্টন বোর্ডের তৈরি খাটে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। অ্যাথলেটদের ঘনিষ্ঠতা এড়ানোর জন্যই এমন পরিকল্পনা। খাটে একজনের বেশি মানুষ ঘুমাতে পারবে না।’
এর আগে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) আগেই ৩৩-পৃষ্ঠার প্লেবুক প্রকাশ করেছে। সেখানে থাকা কনডম প্রোগ্রামে অ্যাথলেটদের শারীরিক যোগাযোগ হ্রাস করতে উত্সাহ দেয়া হয়।
ব্রাজিলের রিওতে বসা আগের আসরে জনপ্রতি ৪২টি করে কনডম পেয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অ্যাথলেটরা। এবার প্রত্যেকের জন্য ১৪টি করে কনডম বরাদ্দ থাকছে।
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে সাড়ে ৪ লাখ কনডম দেয়া হয়েছিল অ্যাথলেটদের। তবে এবার মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার কনডম পাচ্ছেন অ্যাথলেটরা।
মহামারি চলাকালীন এবারের আসরে আয়োজকরা অ্যাথলেটদের কনডম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কমিটি ঘোষণা করেছে যে বিতরণ করা কনডম স্মারক হিসেবে নিজেদের দেশে নিতে পারবেন।
নিরাপদ যৌনতা ও এইডস নির্মূলের প্রচারের লক্ষ্যে আইওসি ১৯৮৮ সালে অলিম্পিকে কনডম দেয়ার প্রথা শুরু করে।
ওয়াই
মন্তব্য করুন