হয়তো কখনই ফুটবল খেলতে পারবেন না এরিকসন
ডেনমার্কের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান এরিকসন। খেলেছেন ডাচ দল আয়াক্স ও ইংলিশ দল টটেনহামের জার্সিতে। বর্তমানে ইন্টার মিলানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তিনি।
শনিবার (১২ জুন) রাতে জাতীয় দলের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন এরিকসন। ম্যাচ চলাকালীন হুট করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে পুরো ফুটবল বিশ্ব চিন্তিত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন জাতীয় দল, ক্লাব থেকে তারকা ফুটবলাররা ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সুস্থতা কামনা করে নানা পোস্ট হতে থাকে। মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় ইন্টার মিলানের এই তারকাকে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা বলেন হার্ট অ্যাটাক করেছেন এরিকসন। সব শেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
লন্ডনের সেন্ট জর্জ’স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস কার্ডিওলজি বিভাগে কাজ করছেন অধ্যাপক সঞ্জয় শর্মা। এরিকসন টটেনহাম হটসপারে থাকাকালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
‘এটা বড় একটি বিপদ। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কি হয়েছিল, কেনো হয়েছে? ২০১৯ সাল পর্যন্তও তার সব পরীক্ষা স্বাভাবিক ছিল। তবে হার্ট অ্যাটাক কেমনে হলো’
যুক্তরাজ্যের ফুটবল সংস্থা গুলো কিছুতেই এরিকসনকে মাঠে নামার বিষয়টি গ্রহণ করবে না বলে মনে করেন সঞ্জয় শর্মা।
‘তার হ্যার্টঅ্যাটাকের বিষয়টি সামনে আসার পর সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সুখবরটি হচ্ছে তিনি বেঁচে আছেন। আর দুঃসংবাদটি হচ্ছে এখানেই হয়তো ক্যারিয়ারের ইতি টানতে হচ্ছে। এখনও কি তিনি পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি? আমি নিশ্চিত নই। তবে এটা বলতে পারি যুক্তরাজ্য কিছুতেই তাকে খেলতে দিবে না। এবিষয়ে তারা অনেক কঠোর।’
ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কার্ডিয়াক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরামর্শ প্রদান করে আসছেন ডা. শর্মা।
‘এরিকসনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি জেগে আছেন। আশাকরি তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন। তিনি মারা যেতে পারতেন। কয়েক মিনিটের জন্য ছিলেন অজ্ঞান। তবে চিকিৎসকরা কি তাকে আবারও মরে যেতে দিবেন? উত্তর হচ্ছে, না।’
বোল্টন ওয়ান্ডারাসের হয়ে খেলা ফ্যাবরিস মুয়াম্বাও এমন সমস্যায় পড়েছিলেন। ২০১২ সালের ১২ মার্চ টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
মুয়াম্বার আশা ছিল আবারও মাঠে ফিরবেন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে পাঁচ মাসের মাথায় পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানান ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ২১ দলের হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডার।
তাকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন ডা. স্যাম মহিউদ্দিন। তার মতে, ‘আপনি যদি মনে করেন হ্যার্ট অ্যাটাক আপনার পিছু নেয়া ছেড়ে দিয়েছে, তাহলে আপনি ভুল। একবার হওয়ার পর ঝুঁকি থেকেই যায়।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন