‘ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের হু'মকি’
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর সফলভাবে শেষ হওয়ার পরই বিশ্ব ক্রিকেটে দারুণভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাট। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আসে ২০০৮ সালে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যাত্রা শুরু এই আইপিএল দিয়েই। এরপর তো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এসব লিগকে ব্যাঙের ছাতার সঙ্গে তুলনা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিস।
গোটা বিশ্বে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে বেড়ান তিনি। ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা বললেও ভুল হবে না। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে যথেষ্ট সফলও এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
অথচ দু প্লেসিই বললেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এই টি-টোয়েন্টি লিগগুলো বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
দু প্লেসি বর্তমানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে। কোয়ারেন্টিনের অলস সময়ে সাক্ষাতকার দিয়েছেন ক্রিকেট পাকিস্তানকে। এসময় তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য অনেক খারাপ সময় অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি লিগগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ প্রভাব বিস্তার করবে।”
প্লেসি আরও বলেন, “প্রতি বছরই লিগগুলো তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে। শুরুর দিকে দুই, একটা লিগ থাকলেও এখন সেটি দাঁড়িয়েছে বছরে ৫ থেকে ৬টি। এখানে অর্থের ছড়াছড়িও অনেক। একটা সময়ে দেখা যাবে টি-টোয়েন্টির এই লিগগুলোকেই বেছে নিচ্ছে ক্রিকেটাররা। তাহলে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হুমকির মুখে দাঁড়াবে।”
ভবিষ্যৎ তো বহুদূর। এখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা চুক্তি করেন না ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে সময় ফেলেই আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভো, ক্রিস গেইল, সুনীল নারিনরা খেলেন জাতীয় দলের হয়ে।
গেইল, ব্রাভোদের উদাহরণ টেনে দু প্লেসি বলেছেন, “এই দুই ক্রিকেটারের মতো ভবিষ্যতে এভাবেই বিভিন্ন দেশের উঠতি ক্রিকেটাররা খেলতে শুরু করবেন টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে। তখন তো স্বাভাবিক ভাবেই গুরুত্ব কমে যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের।”
এমআর/
মন্তব্য করুন