ছিলেন পুরুষ, নারী হয়ে অলিম্পিকে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন লরেল!
লরেল হুবার্ড, প্রথম রূপান্তরিত নারী হয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন টোকিও অলিম্পিকে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই রূপান্তরিত নারী অংশ নেবেন ভারোত্তলক ইভেন্টে। যা অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে প্রথম হতে যাচ্ছে।
লরেল হুবার্ড ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন একজন পুরুষ ভারোত্তলক। অনেক ক্রীড়া আসরেই ভারোত্তলক হিসেবে খেলেন পুরুষ হিসেবে। তবে এরপরই নিজেকে বদলে ফেলেছেন লরেল।
বর্তমানে ৪৩ বছর বয়সী হুবার্ডের অলিম্পিকে অংশ নেয়ার ব্যপারে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা হয়েছে, "আমরা লরেল হুবার্ডের ব্যপারে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। সে যেহেতু এখন নারীতে রূপান্তর হয়েছে, তাহলে খেলতে কোনো বাধা আছে বলে মনে হচ্ছে না। কমনওয়েলথ গেমসেও সে খেলেছে ২০১৮ সালে। তাই লরেলের অলিম্পিকে অংশ নেয়ার ব্যপারে আমরা আশাবাদী।"
তবে লরেলকে ঘিরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে যেমন এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন, তেমনই অনেকের ধারণা সুবিধা পেতেই হুবার্ড এমনটা করেছে।
অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা নিউজিল্যান্ডের সাবেক নারী ভারোত্তোলক ট্রেজি লেমব্রেস বলেছেন, “ এটা মানা যায় না। এক্ষেত্রে নারীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হবে।আমরা নারীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি বিশ্বব্যাপী। খেলাধুলোর ক্ষেত্রেও নারী-পুরুষের সমান অধিকারেরর কথা বলা হয় কিন্তু, এখন দেখছি অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেক নারী ক্রীড়াবিদই আমার কাছে এসে বলছে ওদের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। তবে আসল ব্যাপার হল, এর বিরুদ্ধে আমরা কিছুই করতে পারব না। কেন না, এ নিয়ে কথা বলতে গেলেই আমাদের থামিয়ে দেওয়া হবে।”
লরেলের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের বিপক্ষে প্রতিবাদের তালিকায় রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রও। এর বিপক্ষে জনমত গড়ারও একটি অনলাইন জরিপের একটি লিঙ্ক দিয়েছেন।
“আপনি যদি মনে করেন এটি হাস্যকর এবং নারীদের খেলাধুলা বাঁচাতে সহায়তা করতে চান তবে এই জরিপে ভোট দিয়ে আসুন।”
এমআর/
মন্তব্য করুন