করোনা বিপর্যস্তদের জন্য আর্থিক তহবিলের বিরোধীতা করছেন শ্রীসন্থ
করোনা মহামারির প্রভাবে গোটা ভারত এখন বিপর্যস্ত। প্রতিদিন হাজার হাজার প্রাণহানী ঘটছে। অক্সিজেনের অভাবও মারাত্বক আকার ধারণ করেছে। অনেকেই অক্সিজেনের অভাবেই মারা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সমাজের সক্ষমতা সম্পন্ন অনেকেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক তহবিলে যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন। তবে এই সাহায্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের জোরে বোলার শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ। ক্রিকেট জগতের এই তারকা আর্তি জানিয়েছেন, যাদের এই টাকাটা সত্যিই দরকার, তাদেরই যেন সাহায্য করা হয়।
শ্রীসন্থ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক তহবিলে অনুদান দিয়ে কোনও লাভ নেই। তারচেয়ে পাশের বাড়ির মানুষটিকে সাহায্য করলে সমাজের অনেক বেশি উপকার হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে শ্রীসন্থ লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে পরে আর্থিক অনুদান দেবেন। তার আগে আপনার আশপাশে যে আত্মীয় স্বজন এবং কাজের লোকরা আছেন তাদের দিকে তাকান। তারা এই কঠিন সময়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছেন। তাদের সাহায্য করুন, কারণ কেবল আপনিই তাদের কাছে পৌঁছতে পারবেন, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী নয়।"
শ্রীসন্থের পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এই মন্তব্যের কারণে অনেকেই তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আইপিএল টুর্নামেন্টে শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেজন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে প্রথমে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে সেই সাজা সাত বছর কমিয়ে আনা হয়। সম্প্রতি ভারতীয় এই খেলোয়ার সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টে রাজ্যের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ধারণা করেছিলেন আইপিএল টুর্নামেন্টেও তাকে কোনও না কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কিনে নেবে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তা হয়নি।
এদিকে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার প্যাট কামিন্সও প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক তহবিলে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তিনি পিছিয়ে আসেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের পিএম কেয়ার্স ফান্ডে তিনি টাকা দেবেন না। বরং সেই আর্থিক অনুদান তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিসেফকে দেবেন। ভারতের এই কঠিন সময়ে অস্ট্রেলিয়ার এই সংগঠণ যথেষ্ট সাহায্য করছেন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশন এবং ইউনিসেফ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তারা এই দায়িত্ব পালন করবে। তারা যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে, সেটা বিভিন্ন চিকিৎসার সামগ্রী এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার জন্য ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এসকে/এসএস
মন্তব্য করুন