• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আত্মবিশ্বাস আছে, শান্ত আরও ভালো করবে: বাবা

  ২২ এপ্রিল ২০২১, ২২:৪৩
নাজমুল হোসেন শান্তর বাবা জাহাঙ্গীর আলম রতন, najmul hossain shanto’s father jahangir alam roton, rtv online
ছবি- সংগৃহীত

স্কুল ক্রিকেটের ওয়ানডে ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসে শান্তর নাম। রাজশাহী থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলে সুযোগ হয়ে যায় তার। বয়স অনুযায়ী সামর্থ্য বেশি থাকায় জায়গা পেয়ে যান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তারপর ২০১৪ ও ২০১৬ যুব বিশ্বকাপে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।

২০১৪ সালে রাজশাহীর হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাম-হাতি এই ব্যাটারের। ২০১৬ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৪১.৩০ গড়ে ৫৩৭ রান তুলেন। তবে ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬৪.৭৫ গড়ে ২৫৯ রান তুলে আলোচনায় চলে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচকরা সম্ভাবনাময় এই তরুণকে জাতীয় দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পাঠিয়ে দেন নিউজিল্যান্ড সফরে। ঠিক এমন সময় মুমিনুল হক চোট পাওয়ায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট একাদশে সুযোগ হয়ে যায়। তবে অভিষেকে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। প্রথম ইনিংসে ১৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রান করে মাঠ ছাড়েন। দল থেকে ছিটকে যেতে হয় তাকে।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেটে সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নামেন। সেখানেও ব্যর্থ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৮ রান করেন। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি শুরুতে পাকিস্তান সফর করেন শান্ত। জাতীয় দলের হয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৪৪ ও ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। একই মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। যা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তার।

এক বছর পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ২৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য হাতে ফিরে যান।

ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে যথাক্রমে ৪ ও ১৫ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। এমন পারফরমেন্সে নানা চাপ ছিল তার। যদিও নির্বাচকরা তার উপর আস্থা রাখেন। শেষ পর্যন্ত আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। ক্যান্ডি টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তুলেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিনে ইনিংস টেনে ডাবল সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন। ২১ বছর বয়সী শান্ত শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৬৩ রানে। খেলেছেন ৩৭৮ বল। ১৭টি চার ও একটি ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংসটি।

রাজশাহী পবা উপজেলার রনহাট আশরাফ মোড়ে শান্তর জন্ম। বিদেশের মাটিতে চমৎকার পারফরমেন্সের জন্য তার বাবাকে ফোন দিচ্ছেন স্বজনরা।

আরটিভি নিউজকে শান্তর বাবা জাহাঙ্গীর আলম রতন বলেন, ‘ভালো ব্যাটিং করার পর আমার পরিবার ও বন্ধুরা অনেকেই ফোন দিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’

মাত্র ১০ বছর বয়সে স্থানীয় একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ছেলেকে ভর্তি করান জাহাঙ্গীর আলম রতন। নামের সঙ্গে ছেলের স্বভাবও একই রকম। ছেলের কারণে বাবাকে কখনও নিরাশ হতে হয়নি। সব সময় মানুষের কাছে ছেলের প্রশংসাই শুনেছেন। তবে মাঝখানে জাতীয় দলে একাধিকবার ব্যর্থ হওয়ার পরও হতাশ হতে দেননি ছেলেকে। সাহস জুগিয়েছেন বাবা।

‘ভালো করুক, খারাপ করুক। আমি সব সময় উৎসাহ দেই। সামনে অনেক সময় রয়েছে। এখন শেখার বয়স। যারা সৎ ও ভালো মানুষ আল্লাহ তাদের নিজ হাতে পুরস্কার দেয়। সন্তান ভালো করলে বাবা-মা’র সব সময় ভালো লাগে। আমরা সব সময় দোয়া করি নিজের জন্য ও দেশের জন্য ভালো করুক। আমার আত্মবিশ্বাস আছে ও আরও ভালো করবে। ও এখন নতুন, একজন ভালো মানের বড় খেলোয়াড় হতে অনেক সময় লাগবে। একদিনেতো সম্ভব না।’

ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh