এক সপ্তাহে তিন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি
ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকায় আরেকজন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় দলের ক্রিকেটার কাদির আহমেদ খান। সপ্তাহ ব্যবধানে হিথ স্ট্রিক, দিলহারা লকুহেত্তিগের পর এবার শাস্তি পেলেন কাদির।
১৪ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিককে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯ এপ্রিল সমান শাস্তি দেয়া হয় শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলা লকুহেত্তিগেকে।
১৯৮৫ সালে পাকিস্তানে জন্ম নিলেও আমিরাতের হয়ে খেলে আসছিলেন কাদির। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির জার্সিকে ১১ ওয়ানডে ও ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। তখন থেকেই খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। অভিযোগ প্রমাণ হয়ে বুধবার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সামনে আসলেও তার পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ তখন থেকেই শুরু হয়েছে।
কাদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিরিজ চলাকালীন ছয়টি ক্ষেত্রে আইসিসির দুর্নীতিদমন আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।
বুকিদের সঙ্গে সাক্ষাত বা ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাবের কথা ডান-হাতি এই পেসার আইসিসি দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তাদের কাছে গোপন করেছিলেন। ওই বছরেই আগস্টে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীনও বুকিদের কাছে দলের ভেতরের তথ্য ফাঁস করেছিলেন কাদির।
৩৫ বছর বয়সী এই বোলার জানতেন, তথ্যগুলো জুয়ার কাজে ব্যবহার হতে পারে। তবু তথ্যগুলো আইসিসি দুর্নীতি দমন শাখার কাছে গোপন রাখেন তিনি। এসব গোপন রেখে তদন্তে সহযোগিতা করেননি কাদির।
আইসিসি দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল জানান, জাতীয় দলে খেলা এই ক্রিকেটার ভালো করেই জানেন কোন ক্ষেত্রে কী করলে আইসিসির দুর্নীতিদমন বিধি ভঙ্গ করা হয়। কিন্তু দুর্নীতিতে জড়িয়েও বারবার তিনি দুর্নীতিরোধের প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করে গিয়েছেন।
ওয়াই
মন্তব্য করুন