এক ডজন ক্লাব নিয়ে শুরু হচ্ছে বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ
ইউরোপেরে বিখ্যাত ১২টি ক্লাব এক হয়ে নতুন একটি টুর্নামেন্ট নিয়ে হাজির হচ্ছে যার নাম দেয়া হবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল)। যদিও এই আয়োজন নিয়ে নাখোশ ভক্তরা। পাশাপাশি সাবেক ফুটবলার থেকে রাষ্ট্র প্রধান পর্যন্ত বিরূপ মন্তব্য করেছেন ইএসএল নিয়ে।
উরোপিয়ান সুপার লিগর নেপথ্যে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ। দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত লাভের আশায় এই লিগ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংকের অর্থায়নে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।
মূলত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইতালিয়ান সিরি আ’র সেরা দলগুলো এক হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ বুকে ব্যথা নিয়ে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মুরালিধরন
ইংল্যান্ডের দলগুলো হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার। স্পেন থেকে যোগ দিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। অন্যদিকে ইতালি থেকে অংশ নিচ্ছে ইন্টার মিলান, এসি মিলান ও জুভেন্টাস।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের আদলে এই সুপার লিগ আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। টুর্নামেন্টে অংশ নিবে মোট ২০টি দল। ১২টি প্রতিষ্ঠাতা দলের সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে আরও তিনটি দল যোগ দিতে চলেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। বাকি পাঁচ দল ঘরোয়া ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে এই লিগে অংশ নিবে।
আরও পড়ুনঃ টিভি পর্দায় সোমবার যত খেলা
প্রতি বছরই আগস্টে মাঠে গড়াবে ইএসএল। চ্যাম্পিয়নস লিগের আদলে চলবে টুর্নামেন্ট। প্রতি বছর মে মাসে বসবে এর ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের চেয়ে বেশি এই টুর্নামেন্ট অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদী ক্লাবগুলো। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ফুটবল কাঠামোই ভেঙ্গে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে উয়েফার এক বিবৃতিতে এই লিগ আয়োজন ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইংলিশ, স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান ফুটবল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সুপার লিগের সমালোচনা করেছেন।
ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে উল্লেখ করে টুইটার তিনি লিখেছেন, ‘এই আয়োজন ঘরোয়া কাঠামোতে আঘাত করবে। ক্লাবগুলোর উচিৎ ভক্তদের কাছে জবাবদিহি করা।’
অন্যদিকে ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি নেভিল, লিভারপুল কিংবদন্তি ড্যানি মারফিরাও এর বিরোধিতা করেছেন।
ওয়াই
মন্তব্য করুন