আক্ষেপের আগুনে পুড়ছেন স্যামসন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ১৪টি আসরে যা কেউ পারেনি এতদিন, সেটাই করে দেখিয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। মুম্বাইতে আসরের চতুর্থ ম্যাচে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২২১ রান করে পাঞ্জাব কিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সমানে সমান লড়লেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছিল রাজস্থান। তবে স্যামসনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা যে এতদূর নিয়ে যাবে সেটা হয়তো ভাবেনি কেউ।
হারলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্যামসন
স্যামসন একাই দলকে টেনে নেন ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত। নিজের শতক পূর্ণ করে জয়ের ক্ষণ গুনছিলেন। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে লাগে ৫ রান, সিঙ্গেল রান নেয়ার সুযোগ এলেও ঝুঁকি নেননি মরিসকে স্ট্রাইকে দিয়ে।
নিজের উপর ভরসা রেখে আর্শ্বদ্বীপ সিংকে যখন ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতাবেন ঠিক করেছেন, তখনই বিপত্তি। ডিপ কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারলেও পার করতে পারেননি বাউন্ডারি। দীপক হুদার হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে হেরে জলাঞ্জলি দেন ৬৩ বলে খেলা ১১৯ রানের ইনিংসটাও।
ম্যাচ শেষে আক্ষেপ নিয়ে স্যামসন বলেন, “আমার আইপিএল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সেরা ইনিংস এটি। আমি সব সময় আমার পার্টনারের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছিলাম, তবে পাঞ্জাবের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। তবে আমি আমার খেলাটা উপভোগ করেছি। আমার জোনে আসছিল বল, তাই দেখতে সমস্যা হয়নি। শেষ বলটায় ছয় হয়েই যাচ্ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য। বড় কথা, শেষ বলে নিজের উপর ভরসা রাখতে চাচ্ছিলাম, এবার হয়নি হবে।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাঞ্জাব কিংস: ২২১/৬ (২০) (রাহুল ৯১, হুদা ৬৪, , গেইল ৪০; সাকারিয়া ৩/৩১, মোস্তাফিজ ০/৪৫, মরিস ২/৪১, শ্রেয়াস ০/৪০, স্টোকস ০/১২, তেওয়াটিয়া ০/২৫, পরাগ ১/৭, দুবে ০/২০)
রাজস্থান রয়্যালস: ২১৭/৭ (২০) (সঞ্জু ১১৯, বাটলার ২৫, পরাগ ২৫; শামি ২/৩৩, রিচার্ডসন ১/৫৫, আর্শদ্বীপ ৩/৩৫, মেরেডিথ ১/৪৯)
এমআর/
মন্তব্য করুন