‘সাকিব-তামিমরা আজীবন খেলবে না, বিকল্প তৈরি করতে হবে’
সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা সবসময় খেলবেন না। তাদের বিকল্প খুঁজতে হবে বলে জানিয়েছেন, খালেদ মাহমুদ সুজন। পাশাপাশি যারা সিনিয়রদের জায়গায় সুযোগ পাচ্ছেন তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই পরিচালক।
চলতি মাসের শেষ দিতে শ্রীলঙ্কায় দুটি টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশন্স কমিটি, গেম ডেভেলপমেন্ট, হাই পারফরম্যান্স ও নির্বাচকমণ্ডলী এক সভায় বসেছিল।
সভায় বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও উপস্থিত ছিলেন। এরপর আলাপ করেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে।
দীর্ঘদিন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ তথা পঞ্চপাণ্ডবের উপর নির্ভর করে একের পর এক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এখন সময় এসেছে জুনিয়রদের নিজেদের সেরাটা দেয়ার।
‘সারাজীবন মাশরাফি, সাকিব, তামিম, রিয়াদ কিংবা মুশফিক ক্রিকেট খেলবে না। একসময় মোহাম্মদ রফিক খেলতো, হাবিবুল বাশার সুমন ছিল, নাইমুর রহমান দুর্জয় খেলেছে, এখন খেলছে না। একসময় এরাও ছেড়ে যাবে। তাই বলে বাংলাদেশ দল থেমে থাকবে না। সাকিব থাকলে অবশ্যই আমাদের জন্য সুবিধা। যেহেতু সাকিব খেলছে না, তার বিকল্প যাই আছে তাদেরকে তো আমাদের তৈরি করতে হবে। যারাই খেলছে, তারা ক্যাপাবল বলেই খেলছে।’ বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগে ব্যর্থ হয়েছে দল। তাই দলের সিনিয়রদের দিকেই আঙুল উঠেছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই পরিচালকের ভাষ্য, সিনিয়র-জুনিয়র সবাই বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। তাই দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকেই।
‘যারা সিনিয়র আছে বা জুনিয়র আছে, সবারই দায়িত্ব আছে। এটা সিনিয়র-জুনিয়রের খেলা না। যেহেতু সবাই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করছে। আমি মনে করি, সেহেতু সবারই সমান দায়িত্ব আছে। এটা এমন নয় যে, তামিমের দায়িত্ব ১০০ এবং আরেকটা জুনিয়র ক্রিকেটার লিটনের দায়িত্ব ১০ ভাগ। আমি মনে করি দুজনেরই দায়িত্ব শতভাগ।’
কেনো সিনিয়ররা সব দায়িত্ব নেবে? এমন প্রশ্ন রেখে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আপনি যখন দলের অংশ হবেন, তখন তো আপনারও দায়িত্ব থাকবে। একটা দল ভালো করতে গেলে একজন খেলোয়াড় ম্যাচ জেতাবে এমনটা চিন্তা করা যাবে না। আমাদের ১১ জনকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন