মেসির পেনাল্টি সেভ করে সতীর্থকে উৎসর্গ নাভাসের
বার্সেলোনার আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার মন্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। প্রথম লেগে ৪-১ গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি দ্বিতীয় লেগে পিএসজির গোলপোস্টের সামনে একের পর এক চেষ্টা চালাতে থাকে। সেসব রুখতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কেইলর নাভাস। তবে লিওনেল মেসির পেনাল্টি রুখে ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন কোস্টারিকান এই গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হলেও ৫-২ গোলের অগ্রগামীতায় চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট নিশ্চিত করে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পেনাল্টি ঠেকিয়ে সতীর্থ সার্জিও রিকোকে মুহূর্তটি উৎসর্গ করেছেন নাভাস।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের ৩০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নর। ৩৭ মিনিটে মেসি সমতায় ফেরান বার্সাকে।
বিরতিতে যাবার আগে পেনাল্টি পায় কাতালানরা। যদিও নাভাসের নৈপুণ্যে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হন লিও মেসি।
আরও পড়ুন: ১৬ বছরের রাজত্বের অবসান
ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক নাভাস বলেন, ‘সব সময়ই পেনাল্টি ঠেকানো কঠিন। বিশেষ করে মেসির মতো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে, যিনি শুট নিতে পারদর্শী। নিঃসন্দেহে এটা সবাইকে আনন্দ দিয়েছে।’
পিএসজির স্প্যানিশ গোলরক্ষক সার্জিও রিকো পারিবারিক সমস্যায় পড়েছেন। তাই মুহূর্তটি তাকে উৎসর্গ করেছেন ৩৪ বছর বয়সী নাভাস।
‘এই পেনাল্টিটা আমি সার্জিও রিকোকে উৎসর্গ করতে চাই। বর্তমানে তার পরিবার খারাপ সময় অতিবাহিত করছে।’
পুরো ম্যাচে ২১টি শট নিয়েছে বার্সেলোনা। এরমধ্যে নয়টি সেভ করেছেন প্যারিসের দলটির অভিজ্ঞ গোলরক্ষক নাভাস।
আরও পড়ুন: ‘আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে রাজপরিবার, কথা বলেন না বাবা’
‘আমি অনেক খুশী, কারণ ম্যাচটি বেশ কঠিন ছিল। আমরা সবাই বড় ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় ছিলাম। পাশাপাশি প্রথম লেগে এগিয়ে থাকায় বাড়তি সুবিধা নিয়েও নেমেছিলাম।’
ম্যাচের ৭৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল বার্সেলোনা। পরের রাউন্ড নিশ্চিত করলেও প্রতিপক্ষের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি।
‘বার্সা অসাধারণ খেলেছে। জয়ের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা সবাই প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে মুখিয়ে আছি।’ যোগ করেন নাভাস।
আরও পড়ুন: লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়াই
মন্তব্য করুন