বাংলাদেশ-উইন্ডিজ সিরিজ ২০২১
হারের কারণ সাকিবের না থাকাটাও
দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে ফেরা হয়েছে বিশ্বসেরা এই অল-রাউন্ডারের।
ফিরেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন, হয়েছিলেন উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডের সিরিজ সেরা। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুঁচকির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় সাকিবকে।
টেস্ট সিরিজে খেলতে নেমেও ব্যাট হাতে পান অর্ধশতকের (৬৮) দেখা। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংটা কেবল শুরু করেন। তাতেই বাঁধে বিপত্তি। ষষ্ঠ ওভার শেষ করে ছাড়তে হয় মাঠ। এবারও নতুন করে চোট সাকিবের।
তাই খেলা হয়নি ম্যাচের বাকি অংশ। যেখানে সাকিবের বোলিংটা বেশি প্রয়োজন ছিল দলের। তার থেকে বেশি প্রয়োজন ছিল মাঠে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে উপস্থিতি। মুমিনুলের কন্ঠেও শোনা গেল সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে হতাশা।
‘সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হত। যেহেতু সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারত। উনি না থাকায় মিস করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’
লম্বা সময় ছিলেন না দলে। যখনই ফিরলেন তখনই চোটে। সাকিবের থাকা মানে দলের বাড়তি পাওয়া। অধিনায়ক মুমিনুলও বলছেন, ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি সাকিবের মাঠে থাকাটাও জরুরি বাংলাদেশ দলের জন্য।
‘অধিনায়ক হিসেবে উনার সঙ্গে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এই প্রথম সুযোগ ছিল। আগে খেললে হয়ত ওভাবে অনুভব করতাম। সাকিব ভাই না থাকাতেও স্পিনাররা ভালো করেছে। তাইজুল, নাঈম মিরাজ ভালো করেছে। যে বোলিং অ্যাটাক ছিল ওরা একটু ভালো লেংথে বল করলে ওরা ম্যাচ জেতানোর যোগ্য। আমরা একটু দুর্ভাগা ছিলাম, ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি।’
এমআর/
মন্তব্য করুন