বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ
হাসানের চোখে উইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া সবই এক
হাসান মাহমুদকে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের উদীয়মান তারকা পেসার। যদিও এক-দুই ম্যাচ দিয়ে খুব বেশি বিবেচনা করার রসদ নেই খুব একটা তবে উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নজর কেড়েছেন সবার।
২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন হাসান, নেন ৯টি উইকেটও। এরপর হাসানের জীবনে নেমে আসে ‘ইনজুরি’। যা পেসারদের সবচেয়ে কাছের সঙ্গী। তবে হাসান সেসব পেছনে ফেলে ঘরোয়া লিগে পারফর্ম করেন। এইচপি দলেও জায়গা করে নেন।
‘ইনজুরির সময়টা আসলে চাপের মধ্যেই ছিলাম। একটা বছর রিহ্যাব বলেন, বিশ্রাম বলেন। কামব্যাক করতে করতে প্রায় এক বছর হয়ে গিয়েছিল। পরে এইচপিতে ব্যাক করেছি, ওখানে ভালো করেছি, ওখান থেকেই শুরু হয়েছে।’ –হাসান মাহমুদ
এরপর থেকেই তাকে নিয়ে তৈরি হয় সম্ভাবনা। সবশেষ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও খুলনার হয়ে খেলেছেন দুর্দান্ত। যার সুবাধে সুযোগ আসে জাতীয় দলে খেলার।
লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই হাসান নিয়েছেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে পান ১টি উইকেট। সবমিলে হাসানের অভিষেক সিরিজটা এখনও জ্বলমলে।
হাসান নিজেই শুধু সন্তুষ্ট নন, তার আগ্রাসী মনোভাব, গতি, বাউন্স মুগ্ধ করেছে সবাইকে। এমনটা শুধুই উইন্ডিজ বা নিচের দলগুলোর বিপক্ষে কী না এমন প্রশ্নে হাসান বলেন, ‘অবশ্যই না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে এরকম মানসিক শক্তি দরকার, যেরকম লাগে আর কি। তো অবশ্যই চেষ্টা থাকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক ঘরোয়া ক্রিকেট হক লাইন, লেংথের সাথে কোনো আপোষ করা যাবে না, পাশাপাশি গতি নিয়েও। সবমিলিয়ে চেষ্টা করবো।’
সোমবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে খেলাও একরকম নিশ্চিত। তার আগে রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাসান জানিয়েছেন তার আত্বতুষ্টির কথা।
‘যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, অভিষেক ম্যাচটা ম্যাটার করে, আলহামদুলিল্লাহ ভালো শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও চেষ্টা করেছি প্রথম ম্যাচের মতোই পারফর্ম করার। কিন্তু হয়নি। অসুবিধা নাই, ইনশাল্লাহ পরের বার হবে।’
এমআর/
মন্তব্য করুন