‘সেভ মুক্তিযোদ্ধা’ আকুতি জানানো কে এই জাপানি
ফেডারেশন কাপ দিয়ে করোনা পরবর্তী ঘরোয়া ফুটবলে ফিরতে চলেছে বাংলাদেশ। ১৩ দলের এই টুর্নামেন্টে শুরুর আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র ভুগছিল আর্থিক সংক্রান্ত জটিলতায়। যদিও শেষ পর্যন্ত সুখবর মিলেছে। দলটিতে অর্থায়ন করতে চলেছে এক জাপানি প্রতিষ্ঠান। তাও আবার দলটির এক জাপানি খেলোয়াড়ের হাত ধরে। তার নাম ইউসুকে কাতো ।
২০১৮ সালে বাংলাদেশে কর্মরত জাপানি বন্ধুর হাত ধরে ঢাকায় আগমন কাতোর। মুক্তিযোদ্ধায় ট্রায়াল দেন তিনি। তবে তার আগে বিশ্বের সাতটি দেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৩৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার জন্ম নেন জাপানের ওসাকায়। হাইস্কুল শেষ করে আর্জেন্টিনায় চলে যান। বুয়েন্স আয়ার্সে হুরাকানের জুনিয়র টিমের হয়েমাঠে নামেন। এরপর প্রিমেরা ডিভিশনেও খেলেন দলটির জার্সিতে। আর্জেন্টাইন লিগে ডিফেনসরেস ডি বেলেগরানোর হয়েও মাঠে নামার অভিজ্ঞতা হয় কাতোর।
ম্যারাডোনা-মেসিদের দেশ থেকে ফিরে যান নিজ জন্মভূমিতে। ২০১১ সালে নাম লেখান জাপান ফুটবল লিগের দল বিয়াকো শিগায়। পরের বছর ভারতীয় দল ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবে খেলতে আসেন কাতো। একই বছর পাড়ি জমান থাইল্যান্ডে। থাই লিগে ছয় দলের হয়ে খেলেন। রয়েছে হংকং, মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও।
২০১৮-১৯ মৌসুমে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে পা রাখেন। দলটির জার্সিতে ২১ ম্যাচে ৭ গোল ও ৫টি অ্যাসিস্ট করেন। পরের মৌসুমে যোগ দিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। এরপর আবারও ফিরেছেন মুক্তিযোদ্ধায়