অবশেষে ঢাকার জয়
একটা জয় পেতে বেক্সিমকো ঢাকাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে চার ম্যাচ পর্যন্ত। প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর চতুর্থ ম্যাচে হারালো ফরচুন বরিশালকে। তবে বরিশালের দেয়া ১০৮ রান টপকাতে ঢাকাকে খেলতে হয়েছে শেষ ১৮.৫ ওভার পর্যন্ত।
দুপুরে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে তামিমরা। তামিম ইকবাল একপ্রান্ত আগলে রাখলেও বাকিরা ব্যর্থ হয় রান তুলতে। তামিমের ওপেনিং সঙ্গী সাইফ হাসান এদিন ৯ রান করে ফেরেন রবিউল ইসলাম রবির বলে।
এরপর পারভেজ হোসেনকে শূন্য রানে ফেরান রবি। আফিফ হোসেনকেও সেই রবিই ফেরান শূন্য রানে। দলীয় ৬৫ রানের সময় তামিমকেও ফেরান রবি। এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তামিমের বিদায়ের পর তৌহিদ হৃদয়ের ৩৩য়ার মেহেদী মিরাজ ১২ রান ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ হয়েছে দশ রানের কোটা পার করতে। সবমিলে ৮ উইকেটে ১০৮ রান তোলে বরিশাল।
ঢাকার হয়ে ৪ উইকেট নেন রবি, ২ উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম ও ১টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন এবং নাঈম হাসান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার ব্যাটাররাও ব্যাট করেন টেস্ট মেজাজে। ওপেনার রবিউল ইসলামের ২ রানে ফেরার পর নাঈম শেখ ফিরেন ২০ বলে ১৩ রান করে। মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ২০ বলে ২২ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান। এরপর অবশ্য আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি ঢাকাকে। মুশফিক আর ইয়াসির আলীর জুটিতে ভর করে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় ঢাকা।
মুশফিক ৩৪ বলে ২৩ ও ইয়াসির আলী ৩০ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের হয়ে ১টি উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।
এমআর/
মন্তব্য করুন