বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ
ওভারে চার ছক্কা হজমের পর পেসারদের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েছে মিরাজের
জেমকন খুলনার বিপক্ষে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ছিল ফরচুন বরিশালের। শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল জিততে হলে। বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বল তুলে দিয়েছিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে।
স্ট্রাইকে থাকা আরিফুল হক ওই ওভারে ৪টি ছয় হাঁকিয়ে হারিয়ে দেন বরিশালকে। ওই ম্যাচে হারলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন দলের জয়ে।
এই জয় মিরাজের সঙ্গে স্বস্তি দিয়েছে দলকেও। রোববার অনুশীলনের ফাঁকে মিরাজ এটাও মনে করিয়ে দেন, স্লগ ওভারে পেসাররা যেভাবে প্রেশার নিয়ে দলকে জেতান বাঁ প্রতিপক্ষকে সামলান।
‘প্রথম ম্যাচটা হারার পর তো অবশ্যই সবার চেয়ে বেশি খারাপ আমার লেগেছে। আপনারা দেখেছেন এক ওভারে চারটা ছয় খেয়েছি । আমার নিজের অনুভূতি অনেক খারাপ ছিল। কিন্তু একটা জিনিস ফিল করেছি আমাদের দেশের পেসার যারা আছে। ওরা স্লগে বল করে। তাদের ওই মোমেন্টামটা আমি ফিল করার চেষ্টা করেছি। হয়তো আমার সঙ্গে এমন অবস্থা ঘটেনি। কিন্তু ওদের সিচুয়েশনটা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি ওদেরকে বলতে চাই যে। স্পেশালি আমাদের দেশের পেসার যারা আছে স্লগে বল করে। ওদের ওপর আমার শ্রদ্ধাটা বেড়ে গেছে।’
প্রথম ম্যাচে ওভারে চার ছয়ে দলকে ডোবালেও পরের ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন এই ডান-হাতি অল-রাউন্ডার। এর জন্য কোচ আর অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞ মিরাজ।
‘আমাদের কোচ থেকে শুরু করে তামিম ভাই আমাকে অনেক হেল্প করেছে। উনি আমাকে একটা কথাই বলেছেন, আমি তোর ওপর কোনো মাইন্ড করিনি এবং আমি তোর ওপর আপসেট না। আমি জানি তুই কী করতে পারিস। তুই প্রমাণ করে এসেছিস এবং সেটা প্রমান করার জায়গা হচ্ছে এখানে। ভালো করতে হবে। তুই যত তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে পারবি। তখন তোকে নিজেকে তুই নিজে চিনাতে পারবে যে না তুই আগে ভালো বল করে এসেছিস বিগত ম্যাচ এবং দিনগুলোতে।’
এমআর/
মন্তব্য করুন