লিটন-সৌম্যে ধরাশায়ী মুশফিকরা
গাজী গ্রুপ ছট্টগ্রামের দলটাকে প্রায় জাতীয় দল বললেও বোধহয় ভুল হবে না। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম রয়েছেন এই দলে।
দলটা যেমন, খেলেছেও তেমন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে মাত্র ১০ ওভার পাঁচ বল খেলে ৯ উইকেটে হারিয়েছে। তার আগে মাত্র ৮৮ রানে অল-আউট করে দেয় মুশফিকদের।
৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিই জিতিয়ে দেয় চট্টগ্রামকে। লিটন করেন ৩৪ আর সৌম্য করেন অপরাজিত ৪৪ রান।
তার আগে সন্ধ্যায় টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
অভিজ্ঞ আর তারুণ্যে গড়া দলটার ব্যাটিং লাইন-আপও বেশ শক্তিশালী ঢাকার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের তানজিদ হাসান, আকবর আলীদের সঙ্গে আছেন মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, নাঈম শেখরা।
তবে ব্যাট করতে নেমে হতাশ হতে হয়েছে চট্টগ্রামের বোলিং তোপে। ওপেনার তানজিদ ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন ইনিংসের প্রথম ওভারে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সতীর্থ শরিফুল ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।
দুই নম্বরে সাব্বির রহমান এসে খেললেন ১০ বল তবে খুলতে পারেননি রানের খাতা। মুশফিকুর রহমের অবশ্য এত বল খেলতে হয়নি, ফিরেছেন প্রথম বলে সুইপ খেতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।
আকবর আলীও নিজের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, ১৩ বলে ১৫ রান করে বোল্ড হন মোসাদ্দেক হোসেনের বলে। আবু হায়দার রনিকে শূন্য রানে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
শাহাদাত হোসেন খেলেন ১৩ বল, রান করেন মাত্র ২। দলের এমন অবস্থায় হাল ধরতে পারেনি কেউই। শেষ দিকে মুক্তার আলীর ১২, নাসুম আহমেদের ৮ আর মেহেদী হাসান রানার ৯ রানে ১৬ ওভার এক বলে সব উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান তুলে ঢাকা।
চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজুর। ১টি করে নেন নাহিদুল ও সৌম্য। চট্টগ্রাম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে তবে ঢাকা হেরেছে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে।
এমআর/
মন্তব্য করুন