বাদল রায়ের শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ জানালেন সালাউদ্দিন
সদ্য মৃত খ্যাতিমান ফুটবলার বাদল রায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেননি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। এতে বেশ সমালোচনাও হয়েছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন বাফুফে প্রধান নিজেই।
গেল রোববর বিকেলে রাজধানীর একটি হাসাপাতালে মারা যান কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়। পর দিন সোমবার মোহামেডান প্রাঙ্গণে নেয়া হয় তার মরদেহ। এর পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় ফুটবল ফেডারেশনের তিনবারের সহ-সভাপতিকে।
প্রশ্ন উঠেছিল কেন বাফুফে ভবনে নেয়া হলো না কিংবদন্তি এই ফুটবলারের দেহ। সেসময় পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাদল রায় নিজেই অনেক আগে জানিয়েছিলেন, যদি তার কিছু হয় বাফুফে প্রাঙ্গণে যাতে তাকে না নেয়া হয়।
অক্টোবরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে নির্বাচনও করেছিলেন বাদল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। গুঞ্জন ছিল চাপে পড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না সাবেক সহ-সভাপতি।
তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নাম প্রত্যাহার না করায় ব্যালটে নাম থাকবে বাদল রায়ের। মাঠে না থেকেও ৩ অক্টোবরের ওই নির্বাচনে ১৩৯ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩৫ জন ভোট দেন। এর মধ্যে সালাউদ্দিন পান ৯৪ ভোট। বাদল ৪০ ভোট পান। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম মানিক পান একটি ভোট।
চতুর্থবারের মতো সালাউদ্দিন সভাপতি পদের দায়িত্বগ্রহণের দেড় মাসের মাথায় মৃত্যু হয় বাদলের। বাংলাদেশ দলের সাবেক সতীর্থ সালাউদ্দিন বাদলকে শেষ শ্রদ্ধা না জানাতে না আসায় নানা প্রশ্ন সামনে আসে।
সেদিন বাফুফের পক্ষ থেকে উপস্থিত হন সহ-সভাপতি কাজী নাবীল আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ কার্যকরী কমিটির অনেকেই।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আসন্ন বাংলাদেশ-কাতার ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন ফুটবল ফেডারেশন প্রধান। তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয় কেনো আসেননি সেদিন।
সালাউদ্দিন জানান কাজী নাবীলকে আবু নায়েম সোহাগকে জানিয়েছিলেন বাদল রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আসতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ওখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। নাবিলের সঙ্গেও কথাও হয়েছিল। তবে আমি অসুস্থ ছিলাম। এখনও আমার গলা ভাঙা। একটু ভালো বোধ করছি তাই আজ এসেছি। আমি যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম সেটা সাধারণ সম্পাদক ও নাবীল দুই জনই জানতেন। কাকতালীয়ভাবে সেখানে আমি উপস্থিত হতে পারিনি। এটা ছাড়া আর কোনও কিছুই না।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন