ক্রিকেটার থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই বাংলাদেশি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরবর্তী ক্রিকেটে বাংলাদেশ ফিরেছিল প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে। তিন দলের ওই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের নিয়েই আয়োজন হয়েছিল। এবার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। আয়োজনের নাম বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। অনেকটা বিপিএলের মতো হলেও এই টুর্নামেন্টে নেই কোনও বিদেশি খেলোয়াড়। অর্থাৎ দেশি ক্রিকেটারদের নিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট।

পাঁচ দলের এই আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছে, বেক্সিমকো ঢাকা, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, জেমকন খুলনা, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও ফরচুন বরিশাল।

ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রামের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের কাঁধে। খুলনার দলনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রাজশাহীর হাল ধরবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বরিশালের নেতৃত্বে থাকছেন তামিম ইকবাল খান।

প্রতিটি দলে ড্রাফটের মাধ্যমে ১৬ জন করে খেলোয়াড় নেয়া হয়েছে। তার আগে তাদের দিতে হয়েছে ফিটনেস টেস্ট। এই টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়েই মাঠে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসির দেয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ব্যাট-বল হাতে নামছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই টু্র্নামেন্টের প্রতিটি দলেই রয়েছে দেশি কোচ। বেক্সিমকো ঢাকার কোচের দায়িত্বে রয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দায়িত্ব পেয়েছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মিজানুর রহমান বাবুল জেমকন খুলনার কোচ, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী সামলাচ্ছেন সরোয়ার ইমরান ও ফরচুন বরিশালের দেখভাল করছেন সরোয়ার ইমরান।

ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর ধরে যুক্ত শামিম চৌধুরী। তার মতে এমন টু্র্নামেন্ট থেকে হলে লাভবান হবে দেশি ক্রিকেটই।

তিনি বলেন, ‘দেশি ক্রিকেটারদের জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয়েছে। এরই মধ্যে আইসিসির “ইয়েস কার্ড” পেয়েছে টি-টোয়েন্টি কাপ। আগামী বছরের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। এই আয়োজন থেকে আমরা ওই সফরের জন্য প্রস্তুত হতে পারবো বলে আমি মনে করি। তাছাড়া বিদেশি কেউ না থাকায় দেশের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও আম্পায়ররাও এই টুর্নামেন্ট থেকে বাড়তি অভিজ্ঞতা পাবে।’

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে উঠে আসার পর সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মাজহার উদ্দিন অমি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আতহার আলী খান, শামীম আশরাফ চৌধুরী, শাহরিয়ার নাফীসদের সঙ্গে ইংরেজিতে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে তাকে।

মাজহার উদ্দিন অমি বলেন, ’জাতীয় দলে না থাকলেও সাকিব, তামিম, মুশফিকদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। প্রেসিডেন্টস কাপে ধারাভাষ্য দিয়েছিলাম। এবার বিসিবি আবারও আমাকে সুযোগ দিয়েছে। প্রেসিডেন্টস কাপে যেমনটা দেখেছি ইরফান শুক্কুর, তৌহিদ হৃদয়, সুমন খানদের মতো অনেকেই নজর কেড়েছেন। এতো বড় আয়োজনে আমাদের ভালো মানের আরও খেলোয়াড় আসবে এটাই প্রত্যাশা।’

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের মোট ম্যাচ সংখ্যা ২৪টি। ফাইনাল বসবে ১৮ ডিসেম্বর। সব ম্যাচই আয়োজন করা হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে স্যাটেলাইট চ্যানেল টি-স্পোর্টস।

ওয়াই/এম