প্রিয় স্টেডিয়ামে ফুলেল শ্রদ্ধায় বাদল রায়ের চির বিদায়
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়কে চির বিদায় জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বিশিষ্ট এই ক্রীড়া সংগঠককে। এর পর বাসাবো কালী মন্দির শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তার আগে সকালে মোহামেডান ও সোনালী অতীত ক্লাব প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছিল বাদল রায়ের মরদেহ।
লিভার ক্যানসারসহ নানা রোগে ভুগতে থাকা বাদল রায় রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।
বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে মোহামেডানের জার্সিতে বাদল রায় খেলেছেন ১২ বছর। জাতীয় দলের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পাঁচ বছর। দীর্ঘদিন তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাতিয়েছেন তিনি। চিরচেনা সবুজ গালিচাতেই শেষ শ্রদ্ধা জানালো হলো জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ফুটবলারকে।
আশির দশকে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, সাবেক খেলোয়াড় ও ভক্ত সমর্থকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে মোহামেডান প্রাঙ্গণে বাদল রায়ের মরদেহ নেয়া হলে জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা, কায়সার হামিদ, হাসানুজ্জামান খান বাবলু ইমতিয়াজ সুলতান জনিসহ সতীর্থদের মধ্যে অনেকেই চির বিদায় জানান তাকে।
১৯৫৭ সালের ৪ জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাদল রায়ের জন্ম। খেলা থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতি ও সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপমহাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু, ডাকসুর নির্বাচিত ক্রীড়া সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওয়াই
মন্তব্য করুন