‘হাইপ্রোফাইল কোচের কাছে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পাওয়া বড় বিষয়’
ইংলিশ ক্লাব সাউদহ্যাম্পটন ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো দলের গোল পোস্ট সামলিয়েছেন লেস ক্লিভলি। চেলসি, টটেনহ্যাম, ফুলহ্যামের মতো দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের। ঢাকায় এসেই গোলরক্ষকদের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা গেছে অনুশীলনে। এমন হাইপ্রোইফাল কোচের সান্নিধ্য পেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাল-সবুজদের প্রধান গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
একদিন বাদেই ম্যাচ। লম্বা বিরতির পর মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে নেপাল। তার আগে আশরাফুল রানা কথা বলেছেন আরটিভির সঙ্গে।
খেলায় ফিরছে সবাই। তাও আবার জাতীয় দলের জার্সিতে। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের এই গোলরক্ষক জানিয়েছেন দলের হালচাল।
‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছি আমাদের জন্য ভালো খবর। ফিটনেসের অবস্থা সবারই ভালো। বেশ আমরা আত্মবিশ্বাসী। কম সময়ে অনেক প্রস্তুতি নিয়েছি। সবাই প্রচুর কষ্ট করেছে।’
শুক্রবার ও মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে নেপাল। আশরাফুল রানা মনে করেন খেলা বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণই হবে।
‘আমাদের মতো নেপালেরও অবস্থা একইরকম। দীর্ঘদিন মাঠে নামেনি তারা। ম্যাচে গোল করার সুযোগ সবারই থাকবে। সেক্ষেত্রে সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। ম্যাচ বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাদের বিপক্ষে খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় আমাদের। তবে আমার বিশ্বাস এই কয়েকদিন যেমন অনুশীলন করেছি। আশা করি সেগুলো ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলে ভালো কিছুই হবে।’
গোলরক্ষকদের মধ্যে প্রাথমিক দলে আশরাফুল রানার সঙ্গে আবাহনীর শহিদুল আলম সোহেল, বসুন্ধরা কিংসের আনিসুর রহমান জিকু ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের পাপ্পু হোসেন ডাক পেয়েছিলেন।
ঢাকায় আসার পর নতুন কোচ লেস ক্লিভলি জানিয়েছিলেন, আগে গোলরক্ষকদের দুর্বল জায়গা খুঁজে বের করবেন। নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পোর্টস সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর করা এই কোচ গোলরক্ষকদের মানসিকতা, কৌশলগত সামর্থ্য ও মেজাজ নিয়েও কাজ করবেন বলে জানান।
আশরাফুল রানা বলেন, ‘তিনি উঁচুমানের কোচ। হাতে কম সময় ছিল। তাও আমাদের নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। অনুশীলন করেছি ম্যাচ রিলেটেড। ম্যাচ চলাকালীন গোলরক্ষকদের কাছে কোন জায়গা দিয়ে বল আসতে পারে সেগুলোতে প্রাধান্য ছিল। বর্তমান ফুটবলে বেশিরভাগ গোল ক্রস থেকে আসে। দুই উইং থেকে বল আসে। সেসব জায়গায় যেন ভালো করতে পারি। সতর্ক থাকতে পারি। কোনও বড় ভুল যাতে না হয়। এ সব বিষয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে।’
লেস ক্লিভলির আগে সম্প্রতি আরও দুইজন হাইপ্রোফাইল গোলরক্ষক কোচ কাজ করেছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। ম্যানচেস্টার সিটি, এভারটনের হয়ে খেলা ববি মিম যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। যিনি ইংলিশ দল ওয়েস্টহ্যাম, ব্লাকপুলের দায়িত্বে ছিলেন। তার এক বছর আগে ওয়েলস জাতীয় দল, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স, কেমব্রিজের মতো দলের হয়ে খেলা জেমস ব্রাউন এসেছিলেন। আর্সেনাল শিবিরে কোচিং করার অভিজ্ঞতা ছিল তার।
বাকি দুইজনের থেকে লেস ক্লিভলি আলাদা কোন জায়গায় এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল রানার কাছে।
‘আগেও ববি, জেমসের মতো ভালো কোচ পেয়েছি আমরা। তাই আমাদের ক্লিভলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহজ হয়েছে। তাদের কাজের ধরন অনেকটা একই রকম। নতুন কিছু নয়। তবে খুব কম সময়ে মিশে গেছেন তিনি। আমাদের সঙ্গে অনেক কিছু শেয়ার করেছেন। বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পেয়েছি। এটা অনেক বড় বিষয়।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হতেই কাতার সফর করতে হবে বাংলাদেশকে। সেখানে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিবে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজকদের বিরুদ্ধে। এরপর ঘরোয়া মৌসুম শুরু হবে। মার্চ ও জুনে ফিফার উইনডোতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সূচি রয়েছে। বিরতির পর ব্যস্ততা বাড়ছে। এতে চাপ নিচ্ছেন না জাতীয় দলের সিনিয়র এই সদস্য।
‘দীর্ঘদিন ফুটবলের বাইরে ছিলাম। সামনে ব্যস্ত সূচি আসবে এটাই স্বাভাবিক। এটা সবার মাথায় আছে। লম্বা সময় পর ফিরছি আলহামদুলিল্লাহ। ঠিকঠাক মতো খেলতে পারবো এটাই প্রত্যাশা।’ যোগ করেন আশরাফুল রানা।
ওয়াই
মন্তব্য করুন