সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে কাজ করা সম্ভব: তাবিথ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চতুর্থ সহ-সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচন শনিবার।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
গত ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাফুফের নির্বাচনে ১৩৯ জন ভোটারের মধ্যে, ১৩৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি নির্বাচন হন কাজী সালাউদ্দিন। চারটি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ইমরুল হাসান ৮৯, কাজী নাবিল আহমেদ ৮১ এবং আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাবিথ আওয়াল সমান ৬৫ ভোট পাওয়ায় অমীমাংসিত থেকে যায় চতুর্থ সহ-সভাপতি। আর সে পদেই শনিবার নির্বাচন হবে।
নির্বাচনের আগের দিন গুলশানে নিজ বাসভবনে কথা বলেছেন তাবিথ। জানিয়েছেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকলেও নির্বাচনে জয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ভোটেরদের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো আবারও দায়িত্ব গ্রহণ করতে সুযোগ পাবো। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। একটা ফুটবল ম্যাচে আন্ডার-ডগ থাকে ডমিনেট ফোর্সেসও থাকে। তবে খেলা শুরু হলে অনেক ঘটনা-অঘটনা হয়ে থাকে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের নির্বাচনটা একই ভাবে দেখতে হবে। ভোটাররাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
কেনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই? এমন প্রশ্নের উত্তরে তাবিথ বলেন, ‘অনেকগুলো কারণ আছে। শুরুতেই প্যানেল ও স্বতন্ত্র একটি বিষয় আছে। যেখানে গ্রুপ ভোট আছে। অনেক গুজব শুরু হয়, অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আর্থিক লেনদেনের। গোয়েন্দা সংস্থার জড়িত হওয়া নিয়ে কথা হয়। যে দুই প্রার্থী আমরা আছি আমাদের অন্য কোনও পরিচয়ের প্রভাব পড়ে কি না। যখন বাইরের কথা চলে তখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা থাকে না। তবে ভোট দেয়ার সময় পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি ভোটাররা সচেতনভাবে ভোট দেবেন।’
মহি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অন্যদিকে তাবিথ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ধানেরশীষ প্রতীকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দুই দুই বার নির্বাচন করেছেন।
বাফুফের নির্বাচনে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে কি না। বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় তাবিথের কাছে।
ফুটবলে আগেও ছিল না। বিশেষ করে ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালে নির্বাচন করেছি। আগেও অন্য কোনও পরিচিতি সামনে আসেনি। আশা করি এবারও আসবে না।
তাবিথকে দুইবারের সফল সহ-সভাপতি বলা যায়। সবশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে। এবারও পদটা ফাঁকাই রয়েছে। জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আত্মবিশ্বাসী তিনি।
‘আমার আত্মবিশ্বাসটা বিগত চার বছরের ভূমিকায়। যে জায়গাগুলোতে আমরা সফলতা পেয়েছি। ফুটবল ফেডারেশনের মাধ্যমে। আমি এককভাবে কোনও কিছু দাবি করছি না। টিমের সঙ্গে কাজ করে সফলতা অর্জন করেছি সেই যায়গা নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
চারবারের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ফেডারেশনে নিজ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
‘অনেকেই বলে, কাজ করার পরিবেশ নেই। কাজ করতে দেয়া হয় না। আমি বলছি, কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে কাজ করা যায়। কাজের পরিবেশ অবশ্যই আছে।’
নির্বাচিত হলে আগামী চার বছরে কি কি কাজ করবেন তিনি?
তাবিথের কথায়, ‘মূল জায়গাটা হলো র্যাংকিংয়ে উন্নতি করা। একটা জায়গার প্রতিশ্রুতি বারে বারে দিয়ে দিয়ে বিগত তিন-চারটা কমিটি হতাশা দিয়েছে। সাফের ফাইনালে খেলার জন্য আগে যা যা করা হয়নি সব করা হবে। আরেকটা হচ্ছে জেলা পর্যায়ে খেলাগুলো আরেকটু উজ্জীবিত করা।’
মাঠে দর্শক ফিরিয়েও আনার বিষয়টিও রয়েছে তার নজরে।
‘লিগ হচ্ছে টুর্নামেন্ট হচ্ছে কিন্তু উত্তেজনাটা আমরা পাচ্ছি না। উত্তেজনা না পেলে মনে হয় খেলা হচ্ছে না। দর্শক না আসলে খেলা হয়েও লাভ নেই। ফ্যানবেজটাকে জেলা পর্যায়ে আরও উজ্জীবিত করা। সেটার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি হবে। তৃণমূলের অবদান বেশি। সেটা যেভাবেই হোক। এলাকাভিত্তিক অথবা জেলাভিত্তিক হোক ফুটবল চালিয়ে যেতে হবে। যাতে অপেশাদার বা অ্যামেচার ফুটবলাররা খেলতে পারে। এরমাধ্যমেই উন্নতি হবে।’ যোগ করেন তাবিথ।
ওয়াই
মন্তব্য করুন