মুশফিকের শতকও জেতাতে পারল না নাজমুল একাদশকে
ম্যাচ শেষে মুশফিকুর রহিমের একশ রানও ম্লান হলো শেখ মাহাদী হাসানের ৮২ রানের ইনিংসের কাছে। ম্যাচের শুরুর দিকে তামিম একাদশের অবস্থা আর ম্যাচ শেষের পরিস্থিতি এক মাহাদী হাসানই বদলে দিয়েছেন বলা যায়।
আজকের ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়তে হতো তামিম একাদশকে। এই জয়ে তিন দলের পয়েন্ট এখন সমান। প্রতিটি দলই এখন ১টি করে ম্যাচ জয়ী।
দুপুরে টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে তামিম একাদশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নাজমুল একাদশ। ব্যাট করতে নেমে টপ, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় যখন আবারও লো-স্কোরিং ম্যাচ দেখার অপেক্ষা ঠিক তখনই উল্টো চিত্র দেখান ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহাদী হাসান।
তাইজুল ইসলামকে নিয়ে খেলেন ৫৭ বলে ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস। তাতেই পালটে যায় ম্যাচের চিত্র। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে তামিম একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২১ রান।
নাজমুল একাদশের হয়ে ৩ উইকেট নেন আল-আমীন। এছাড়া ২টি করে নেন নাঈম হাসান ও রিশাদ আহমেদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল ছন্দহীন। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান (৭), সৌম্য সরকার (৯) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১) ফেরেন দলীয় ৩০ রানেই।
এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। মাঝে আফিফ হোসেন ১৫ ও তৌহিদ রিদয় ৪ রানে ফেরার পর জুটি গড়েন ইরফান শুকুরকে নিয়ে।
শুকুর দারুণ সঙ্গ দেন মুশফিককে। তার ৪০ বলে ২৪ রানের সঙ্গে মুশফিক তুলে নেন আসরের প্রথম শতক।
ইরফানের বিদায়ের পর জয়ের আশাটাও ম্লান হতে থাকে নাজমুল একাদশের। মুশফিক একপ্রান্ত আগলে রাখলেও নাঈম শূন্য, রিশাদ শূন্য আর তাসকিন আহমেদের ৬ রানে ফেরায় ফিকে হয়ে যায় জয়ের স্বপ্ন।
৪৪ ওভার দু বলের মাথায় মোস্তাফিজের বল মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মাহাদী হাসানের কাছে। তাতে ১০৯ বলে ১০৩ রান করে ফেরেন মুশফিক সঙ্গে দলের হার নিয়ে।
নাজমুল একাদশের হয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ ও ২ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন।
এমআর/
মন্তব্য করুন